1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন

ভিজিডি চাউল নিয়ে মেম্বার ও ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

রবিউল হাসান রাজিব ফরিদপুর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১
রবিউল হাসান রাজিব ফরিদপুর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইমারত এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কার্ডপ্রাপ্ত উপকারভোগীদের কার্ড জব্দ ও স্বাক্ষর জাল করে চাল উত্তোলন করাসহ কালো বাজারে বিক্রি এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে সচ্ছল পরিবারদের সুবিধা প্রদান করেছেন ইউপি সদস্য ইমারত ও ডিলারশীপ আবু বক্কার সিদ্দিক (কাবির)। এছাড়া, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ক্ষমতার দাপটে ইমারত ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছে বলে অভিযোগ এলাকাবসীর। এমনকি এলাকার হতদরিদ্ররা কোন সহযোগিতার জন্য তার কাছে গেলে তাদের সঙ্গে দুবর্যবহার করেন এই ইউপি সদস্য। নিজে পরিষদের সদস্য হয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন তিনি।এসব অনিয়মের সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক কঠোর শাস্তি চেয়ে ভুক্তভোগীরা ফরিদপুর জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: ইমারত হোসেন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে  প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা দরের মাসিক ত্রিশ কেজি চাল সুবিধা প্রাপ্ত  কার্ড জব্দ পুর্বক স্বাক্ষর জাল করে নিজে চাল উত্তোলন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এলাকায় অনেক হতদরিদ্র থাকা সত্ত্বে ও ইউপি সদস্য ইমারত ডিলালের যোগসাজসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ইমারত নিজের নামে ২৯৩নং কার্ড ও তার স্ত্রী বিউটির নামে ৩৯৮নং কার্ড করে চাল উত্তলোন করে আসছে। এ খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির তালিকায় ৩৮৯নং কার্ড ছাড়াও ঐ ইউনিয়নের ১,২,৩, নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার ঝরনা বাড়ৈই এর কন্যা সুবর্না বাড়ৈই এর নামে দেখা যায়। এছাড়াও অভিযোগ সূত্রে জানা যায় স্বজন প্রীতির মাধ্যমে সচ্ছল ব্যক্তিদের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড করেছেন ইউপি সদস্য ইমারত। এ বিষয়ে ৪০৩নং কার্ডধারী মো: আনোয়ার হোসেন এর স্ত্রী সুমি আক্তার বলেন, আমাদের নামে একটি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড হয়। ওই কার্ড দিয়ে আমরা মাত্র তিন বার চাল উত্তোলন করেছি। তথ্য আপডেটের কথা বলে ইউপি সদস্য  আমাদের কাছ থেকে কার্ড নিয়ে যান। পরবর্তীতে আমাদের ওই কার্ডে স্বাক্ষর জাল করে চাল উত্তোলন করেছেন।  ৪৯২নং কার্ডধারী সুলতানা বেগম বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় আমার নাম থাকা সত্ত্বেও কোন চাল না পেয়ে ইউপি সদস্য ইমারতের দ্বারপ্রান্তে বারবার হাজির হলেও তার সাথে বলতে পারিনা। একপর্যায়ে তার স্ত্রী বিউটির সঙ্গে কথা বলতে গেলে আমার নামে কোন কার্ড না থাকার কথা বলে আমার উপর রেগে যান এবং বলেন আপনার নামে কোন কার্ড নাই।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ময়নার মোড় এলাকায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতাধীন ৫৩৮ জন কার্ডধারীর মধ্যে বেশ কিছু অসহায় কার্ডধারীগণ উক্ত কর্মসূচির ডিলার আবু বক্কার সিদ্দিক (কাবির) এর মাধ্যমে হয়রানীর শিকার হয়ে আসছে বলে অভিযোগ করে তারা। এর মধ্যে ৩৬২নং কার্ডধারী মো: মাসুদ রানা, ১১নং কার্ডধারী কমলা রানী সরকার, ৪৫৩নং কার্ডধারী বিথিকা রানী সরকার, ৪৬৫নং কার্ডধারী খুরশিদা, ৪৯৫নং কার্ডধারী রহিম মৃধা, ৩২নং কার্ডধারী মো: মালেক সরদার, অভিযোগ করে বলেন ঐ ডিলারের সময়মত দোকান না খোলা, মানুষের সাথে মিথ্যা কথা বলাসহ তার দেওয়া সময়য়নুযায়ী চাল আনতে গিয়েও আমাদের ফেরত আসতে হয়। এতে করে আমাদের প্রায় ৩/৪ কিলো পথ অতিক্রম করে প্রতিনিয়তই হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি ২০২১ সালের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির নব্য তালিকায় কাবিরের যোগসাসাজসে অসহায় ব্যাক্তিদের বাদ দিয়ে সচ্ছল ব্যাক্তিদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাই এসব অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে তার ডিলারশিপ বাতিল করা জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের একান্ত সহযোগিতা কামনা করেন এলাকার এসব ভুক্তভোগী কার্ডধারীরা। একই সাথে বর্তমান একক তালিকা ভুক্ত কার্ডধারীদের পরিবর্তে খাদ্য অধিদপ্তর এর নিয়ামানুযায়ী সবচেয়ে হতদরিদ্য পরিবার, ভূমিহীন, কৃষি শ্রমিক, উপার্জনে অক্ষম ব্যক্তি, অসচ্ছল দুঃস্থ পরিবার এর নতুন তালিকা তৈরি করে খাদ্য বান্ধব চাল প্রদান করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এসব ভুক্তভোগিরা। এসব অনিয়মের বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইমারত এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ এবং অনিয়মের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েই আমি সকল দায়িত্ব পালন করি। তবে আমি ও আমার স্ত্রীর নামে যে কার্ড রয়েছে এর জন্য ভুল স্বীকার করছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্ড আমি বা আমার পরিবারের নামে থাকবেনা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহিলা মেম্বার ঝরনা বাড়ৈই তার মেয়ের নামে কার্ড থাকার কথা স্বীকার করে জানান আমার কাছে অনেকে বিভিন্ন দাবি নিয়ে আসলে আমার পর্যাপ্ত সামর্থ না থাকায় ঐ কার্ডের চাল তাদের দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এলাকার অসহায় মানুষের দাবি গুলো ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মেটানোর বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেনি তিনি। আনিত অভিযোগের বিষয়ে ডিলার আবু বক্কার সিদ্দিক (কাবির) জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়মানুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় নিদ্দিষ্ট দিনে চাল বিতরন করা হয়ে থাকে। তবে নির্ধারিত দিনের বাইরে কেউ চাল নিতে আসলে তো সে চাল পাবে না। এ ছাড়াও এ কর্মসূচির আওতাধীন খাদ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তালিকা অনুযায়ি আমি সকলকে চাল বিতরন করে আসছি। আমার নামে যে সকল অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পুর্নই মিথ্যা ও বানোয়াট। এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম মোস্তফা  জানান,  ইউপি সদস্য ইমারত বিরুদ্ধে যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিশ্চয়তা দেন তিনি। তিনি বলেন ২০১৬ সালে এই ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব তালিকা তৈরি হয়। আমরা ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর ঐ তালিকা অনুযায়ী ২০২১ সালে নতুন হালনাগাদ তালিকা তৈরি করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কিছু নেতৃবৃন্দ। তবে এই তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের আভাস থাকায় নতুন করে তালিকা তৈরি করার দাবি জানান চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা। এ ছাড়াও ডিলার কাবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো মৌখিক ভাবে আমি অবহিত হয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তারিকুজ্জামান জানান, একজন ডিলারের অধীনে যতগুলো কার্ড থাকে, তাকে ঐ পরিমান চাল দেওয়া হয়। মোঃ আবুবক্কার সিদ্দীক ডিলারশীপের আওতায় ৫৩৮ টি কার্ড। বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ডিলারশীপ আবু বক্কার সিদ্দিক (কাবির) ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও চাল আত্মসাৎ করার অপরাধ করায়, তার ডিলারের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানান। একই সাথে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির আওতায় নিতীমালা অনুযায়ী একটি সর্বজন গৃহিত স্বচ্ছ নির্ভুল ও জবাবদিহীতা তালিকা প্রনয়ন করার জন্য অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
Facebook Comments
৭৮ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি