জেমস আব্দুর রহিম রানা দৈনিক শিরোমণিঃ মণিরামপুরের হরিদাসকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর কবির লিটন এবং তার ভাই জাহাঙ্গীর কবীর হামলার শিকার হয়েছেন।মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার হোগলাডাঙ্গা বাজারে ঘটনাটি ঘটে।রাতে আহত দুই ভাইকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, তার পুত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য শুভ ও তার ভাগ্নে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ঐ রাতেই আহতদের দেখতে হাসপাতালে গেছেন। হামলার শিকার জাহাঙ্গীর কবিরের অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী বিপদ ভঞ্জন পাড়ের পক্ষে বর্ধিত সভা শেষে ফিরে আসা বহর হোগলাডাঙ্গা বাজারে তাদের একা পেয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেছে। হামলায় বিপদ ভঞ্জন পাড়ে সরাসরি অংশ নিয়েছেন।এ দিকে হামলার ঘটনায় মণিরামপুর থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করেছে।তারা হলেন, হোগলাডাঙ্গা গ্রামের শাহিন হোসেন ও দেবিদাসপুর গ্রামের আল আমিন।বুধবার (১০ নভেম্বর) এ ঘটনায় ১১ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্রোহী প্রার্থী লিটনের এক সমর্থক বলেন, মঙ্গলবার বিকালে হরিদাসকাটি ইউনিয়নের হাজিরহাট মোড়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে বর্ধিত সভা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় নৌকার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি আসে।তিনি বলেন, রাত ৮টার দিকে বর্ধিত সভা শেষে বহর নিয়ে মণিরামপুর বাজারে ফিরছিলেন প্রধান অতিথি। বহর হোগলাডাঙ্গা বাজারে আসলে সেখানে দেখা মেলে বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর কবির লিটনের সাথে। নৌকার বিদ্রোহী হওয়ায় বহরের পক্ষ থেকে লিটনের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়।একপর্যায়ে তারা লিটনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। তখন লিটনের সমর্থকরা এসে আমজাদ হোসেন লাভলুর গাড়ির গ্লাস ভাঙে।জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, মণিরামপুর বাজার থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে বিপদ ভঞ্জন পাড়ে ও তার লোকজন আমাকে একা পেয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেন। এর আগে আমার ভাইকে মারপিট করেছে তারা।এদিকে বিপদ ভঞ্জন পাড়ে বলেন, সভা থেকে ফেরার পথে হোগলাডাঙা বাজারে চা পান করতে বসেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু। তখন পাশের দোকানে বসে নৌকা নিয়ে কটূক্তি করেন লিটন। লিটনের কথার প্রতিবাদ করলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এতে লিটনের ভাই জাহাঙ্গীর আমজাদ হোসেন লাভলুর ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলা করে। হামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রক্ষা পেলেও তার গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। পরে লিটন ও তার ভাই মারপিটের শিকার হন।মণিরামপুর থানার ওসি (সার্বিক) নূর-ই-আলম সিদ্দীকী বলেন, আলমগীর কবীর লিটন ও তার ভাইকে মারপিট করার ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৫ views