চাঁদপুর জেলার মতলব পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর বাইশপুর ফকির বাড়িতে গতকাল ২৮ অক্টোবর বিকেলে সামছুন নাহার (৬৫)-এর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যায় জড়িত থাকা সন্দেহে ভাইপো ফয়সাল আহমেদ পারভেজকে আটক করেছে পুলিশ।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই বাড়ির মৃত রহিম মুন্সির চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে নিহত শামসুন্নাহার তার স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার দিন নিহতের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এদিকে ওই দিনই নিহতের ছোট ভাই মরহুম বোরহান উদ্দিন মুন্সির ছেলে পারভেজ (২৬) তার ফুফুর সাথে দেখা করার জন্য সকালে বাড়িতে আসেন।
ওই বাড়ির একাধিক ব্যক্তি জানান, ঘটনার দিন সকালে পারভেজ তার ফুফু শামসুন্নাহারের সাথে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে যায়। সে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর শামসুন্নাহারকে ঘরের বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে হাঁস-মুরগি ঘরে নেওয়ার জন্য বাড়ির জনৈক মহিলা সামছুন নাহারকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া শব্দ পায়নি। পরে বাড়ির কয়েকজন দরজা ধাক্কা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। আর এ বিষয়টি মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশকে অবহিত করলে সিনিয়র এএসপি সার্কেল মোঃ আহসান হাবীব ও মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ ঘটনাস্থলে পৌছেন।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায় যে, নিহত শামসুন্নাহারের দুই ভাইয়ের মধ্যে বোরহান উদ্দিন মুন্সির পরিবার মতলব সদরের নবকলস এলাকায় বসবাস করে। আরেক ভাই কবির হোসেন চাকুরির সুবাদে ঢাকায় বসবাস করেন। নিহতের তিন মেয়ে সকলেই শ্বশুর বাড়িতে থাকে। পারভেজ তার মায়ের কাছে হত্যাকা-ের ঘটনা স্বীকার করেছে।
থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, হত্যাকা-ের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। ফেরিঘাট এলাকা থেকে হত্যাকারী ফয়সাল আহমেদ পারভেজকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।