মধুমতি সেতু ব্যবহারে পণ্য পরিবহনে গতি বেড়েছে বেনাপোল বন্দরে। মাত্র ৫ ঘণ্টায় বেনাপোল থেকে পণ্য নিয়ে সেতু হয়ে ট্রাক পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বাণিজ্যিক ও শিল্প নগরী শহর ঢাকায়। এতে ফেরির ভোগান্তি কমে স্বস্তি ফিরেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে। নড়াইলের কালনা পয়েন্টে মধুমতি নদীর ওপর ৯৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছে এ সেতু।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের আমদানি পণ্য নিয়ে সারি সারি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আসছে। পরে এ সব পণ্য কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশি ট্রাকে খালাস হয়ে মধুমতি সেতু দিয়ে মাত্র ৫ ঘণ্টায় বাণিজ্যিক শহর ঢাকায় চলে যাচ্ছে। একই সময়ে রফতানি পণ্য আসছে বেনাপোল বন্দরে।
ঢাকা থেকে রফতানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসা ট্রাক চালক রোকন জানান, ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে ৫ ঘণ্টায় মধুমতি সেতু হয়ে বেনাপোল বন্দরে এসেছি। আগে ফেরির সিরিয়ালে ৩ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেত। এখন সময় ও খরচ দুটোই কমেছে।
ফেডারেল অব বাংলাদেশ কাস্টমস কিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুর রহমান জানান, ‘ফেরির ভোগান্তি বন্ধে সেতু ব্যবহারে বেনাপোল রুটে বাণিজ্য আরও বাড়তে শুরু করেছে। ঢাকার সঙ্গে বেনাপোলের দূরত্ব কমেছে ৭১ কিলোমিটার।’
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, ‘সেতু ব্যবহারে শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল দ্রুত পৌঁছানো যাচ্ছে ঢাকায়। এতে আমদানিকারকরা আরও উৎসাহিত হচ্ছেন।’
বেনাপোল সি অ্যান্ড এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ‘মধুমতি সেতু নির্মাণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ।’
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, দ্রুত সময়ে পণ্য পরিবহন করতে পারায় পণ্য খালাস বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রফতানি বাণিজ্য হয়। আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আসে ৬ হাজার কোটি টাকা। মধুমতি সেতু ব্যবহারে সামনের বছর আমদানি-রফতানি ও রাজস্ব আয় আরও বাড়বে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]