মোঃ রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ঝিনাই নদীর উপর পিংনা-গোপালপুর সড়কে নির্মিত পুরনো বেইলী ব্রীজটি মরনফাঁদে রুপ নিয়েছে ।
শনিবার বেইলি ব্রীজের ফাটলে আটকে মো. মশিউর রহমান (৪০) নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মশিউর রহমান ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি গ্রামের আবু হাশেম হাওলাদারের ছেলে। তিনি অনির্বাণ ফার্মাসিটিক্যাল ইউনানী কোম্পানির টাঙ্গাইলের মধুপুর-গোপালপুর এরিয়ায় বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেেন, তিনি মধুপুর পৌর শহরের কলেজ পাড়ায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
জানা যায়, বেইলি ব্রীজের ফাটলে তার মোটরসাইকেলের চাকা আটকে ছিটকে ব্রীজের নিচে পড়ে গেলে, স্থানীয়রা উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্মরত চিকিৎসকরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে নেয়ার পথে সন্ধ্যায় তিনি মারা যায়। রাতেই তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, মশিউর রহমানের ভাই কালাম হওলাদার জানান, আজ সকালে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে নির্মিত বেইলী ব্রীজটি, জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করা হয়েছে, ঝাওয়াইল থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো সরাসরি এই ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করে, এছাড়াও ২০১ গম্বুজ মসজিদের অতি নিকটে হওয়ায়, এই ব্রীজের উপর দিয়ে অনেক বড় গাড়ি চলাচল করে, সড়কের তুলনায় ব্রীজের প্রস্থ অনেক কম হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় জানান, এর আগেও এই ব্রীজে প্রানহানির ঘটনা ঘটেছে, কিছুদিন আগে উত্তর বিলডগা গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলী খান, মোটরসাইকেল নিয়ে এই ব্রীজ থেকে পড়ে গিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।
গোপালপুর ও ঝাওয়াইলের সচেতন নাগরিকবৃন্দ, এই ব্রীজ ভেঙ্গে নতুন আরেকটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি তুলেছেন ।