সোহলে রানা, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে পাগলা শেয়ালের কামড়ে দুইদিনে নারী ও শিশুসহ ৯ জন মারাত্মক জখম হয়েছেন। কিন্তু শেয়ালটিকে চিহ্নিত করে নিধনের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদেরকে এন্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে।স্থানীয়রা জানান, গত রোববার (৩১ অক্টোবর) রাত ৮টায় একটি পাগলা শেয়াল উপজেলা সদরের বাজারে ঢুকে পড়ে। বাজারের বিভিন্ন স্থানে দৌড়াদৌড়ি করে সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কামড়িয়েছে। এদিন ওই শেয়ালের কামড়ে জখম হন সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান চৌধুরী দুলাল (৬৫), বিল মোহাম্মদপুর গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান (৩৫), ডিমজাউন গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে সহিদ রানা (২৫), লক্ষণপুর গ্রামের গোপাল চন্দ্রের ছেলে নয়ন কুমার (৩৬), চককন্দর্পপুর গ্রামের হারাধনের স্ত্রী কাকলী রাণী (২৫) ও বাজিতপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের মেয়ে সাবরিনা আকতার (৭)। পরদিন সোমবার জখম হয়েছেন উত্তরগ্রাম গ্রামের ছফের আলী মোল্লার ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫), দেওয়ানপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে এনামুল হক (৩২) ও পতœীতলার অফেল উদ্দিনের ছেলে মোজাহেদুল ইসলাম (৩০)।সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান চৌধুরী দুলাল জানান, রাত ৮টায় তিনি মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ডে হাঁটার সময় হঠাৎ শেয়ালটি দৌড়ে এসে তার পায়ে কামড়ে দেয়। এতে তার পায়ের মাংশ কিছুটা উঠে যায়। এরপর শেয়ালটি বকের মোড়ে সাইদুর রহমানের হাতে কামড়ে দেয়। এতে তার হাতের একটি আঙ্গুল প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবদুল হাকিম জানান, আহতদেরকে এন্ট্রি র্যাবিস ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, পাগলা শেয়াল কুকুর নিধনের দায়িত্ব প্রাণীসম্পদ দপ্তরের।উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: গোলাম রাব্বানী জানান, পাগলা শেয়াল চিহ্নিত করে নিধনের কোন ব্যবস্থা তাদের নেই। এব্যাপারে সাধারন জনতাকে সচেতন থাকতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।#
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]