মাইদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা দৈনিক শিরোমণিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের অক্টোবর/২০২১ মাসের বরাদ্দকৃত ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করার পর কালোবাজারে বিক্রি করার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সুবিধাভোগীদেরকে চাল না দিয়ে নভেম্বর,ডিসেম্বর মাসের চাল বিতরণ হয়েছে। ভুক্তভোগীগণ অক্টোবর/২০২১ সালের চাল পেতে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল জোব্বার এবং চেয়ারম্যান রুবেল আমিন শিমুলের নিকট বারবার ধরনা দিয়েও চাল না পেয়ে তারা নিরুপায় হয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ১৩/০১/২০২২ইং লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সচিব একটি চাতাল মালিকের সঙ্গে যোগসাজস করে বিবর্ণ, নিম্নমানের চাল বিতরণের চেষ্টা করলে স্থানীয় জনগণ ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সহ সুবিধা বঞ্চিত মায়েরা বাধা দিয়ে নিম্নমানের চাল গ্রহণ করেননি বলে জানা গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ২০২১ – ২০২২ অর্থবছরে ১৬ নং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ১৯৩ জন হতদরিদ্রদের মাঝে বরাদ্দকৃত প্রতি মাসের ন্যায় ৩০ কেজি খাদ্যশস্য চাল অক্টোবর/২১ মাসে বিতরণ হয়নি। হয়রানিগ্রস্ত জনগণের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেন মোছাঃ লাইলী বেগমসহ অন্যান্য বঞ্চিতগন। সরেজমিনে জানা যায়, মহিমাগঞ্জ খাদ্য গুদাম থেকে উক্ত মাসের ৩১ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মহিমাগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন কুমার রায়। তিনি বলেন অক্টোবর ২০২১ মাসের ১৯৩ টি কার্ড এর বিপরীতে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ডিও এর মাধ্যমে গুদাম থেকে চাল নিয়ে গেছেন। জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ১৩/১/২০২২ লিখিত আবেদন জমা হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে কোন এক চালের গুদাম থেকে বিবর্ণ নিম্নমানের চাল এনে বিতরণ শুরু করলে সাধারণ জনগণ ও সুবিধাভোগীরা বাধা প্রদান করে। সাধারণ জনগণের প্রশ্ন? অক্টোবর/২১ মাসের চাল জানুয়ারি/২২ মাসে কেন বিতরণের চেষ্টা করা হচ্ছে? পূর্বের ৩ মাস এই চাল ছিল কোথায়? এই চাল আত্মসাৎ কারির খুঁটির জোর কোথায়? তদারকি অফিসারের ভূমিকা কি? এ বিষয়ে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল জোব্বারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি এবিষয়ে কিছু জানিনা, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুবেল আমিন শিমুল ট্রাকে চাল পরিষদে পাঠালে আমি তা গ্রহণ করি এবং ১৩/০১/২০২২ ইং তারিখে বিতরণ করার ব্যবস্থা করে ছিলাম। এর চাইতে বেশি কিছু জানিনা। আপনারা চেয়ারম্যান কে জিজ্ঞাসা করেন। এবিষয়ে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুবেল আমিন শিমুলকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি বিশেষ কাজে ঢাকায় আছি।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এবিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেবুন নেছাকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি এবিষয়ে কিছু জানি না। ভুক্তভোগী সুবিধাভোগী, সাধারণ জনগণ ও সচেতন মহল চাল আত্মসাৎ কারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সেইসঙ্গে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে রক্ষিত বিবর্ণ নিম্নমানের চাল খাওয়ার অনুপযোগী জনস্বার্থে দ্রুত জব্দ করার দাবি জানিয়েছেন সর্বস্তরের জনগণ।