ইশরাত মুহাম্মদ শাহ জাহান-মহেশখালী,কক্সবাজারঃকক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তর। ১২ অক্টোবর (বুধবার) মহেশখালী চ্যানেলের সোনাদিয়া ও মাতারবাড়ি জলস্থানে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান খাঁন'র নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া জনৈক ব্যাক্তির মালিকানাধীন একটি ফিশিং ট্রলার মাছ আহরণের সময় সোনাদিয়া চ্যানেল থেকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়াও মাতারবাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়াছিন'র ভ্রাম্যমাণ আদালত মৎস্য সংরক্ষণ আইনে একটি মামলা দায়ের ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযানে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান খাঁন কে সার্বক্ষণিক সহোযোগিত করেন- বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার (মাতারবাড়ি বিসিজি) লোকমান আহমেদ খাঁনের নেতৃত্বে কোস্ট গার্ডের একটি দল।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান খাঁন বলেন, অভিযানে জব্দকৃত বেহেন্দি ও হুন্দ্রা জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে, সে-ই সাথে জব্দকৃত মাছ এতিমখানায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটি পরিপক্ক মা ইলিশ ২৩ লক্ষ পর্যন্ত ডিম ধারণ করে। এই বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৭-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী মোট ২২ দিন ইলিশসহ সকল প্রকার মংস্য আহরণ বন্ধ থাকবে। এ সময়কালে সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এ আইন বাস্তবায়নের লক্ষে মৎস্য দপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।
এ সময় অবৈধভাবে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। এ আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।