শেখ তোফাজ্জেল হোসেন খুলনা সিটি প্রতিনিধিঃ মহেশ্বরপাশারপাশা পালপাড়া পল্লীতীর্থ স্কুলের পাসে অধ্যক্ষের বাড়ির গ্রীল ও দরজা ভেঙ্গে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরেরা স্বর্ণালঙ্গারসহ প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। গত ১ সেপ্টেম্বর বুধবার গভীর রাতে মহেশ্বরপাশার পালপাড়া পল্লীতীর্থ স্কুলের পাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ফুলবাড়ীগেট মীরেরডাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওনালা নাছির উদ্দিন মুহাম্মাদ হুমাউয়ুন ও মহেশ্বরপাশা পল্লীতীর্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাহবুবা খাতুন দম্পতির বাড়ীতে বুধবার রাত সাড়ে ৩টায় গেটের গ্রীলের তালার হুক এবং দরজা ভেঙ্গে সংঘবন্ধ চোরচক্র ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। তারা ৩টি কক্ষের আলমেরী, ড্রেসিং টেবিল ও অড্রোপের তালা ভেঙ্গে ৫ভরী স্বার্ণালঙ্গার, দুটি দামী ক্যামেরা, দুটি দামী স্মাট মোবাইল, একটি প্রজেক্টর সহ প্রায় ৮লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় বাড়ীর গৃহকর্তার সাথে চোরের ধাক্কা-ধাক্কিতে গৃহকর্তা আহত হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় চোরেরা একটি ল্যাবটপ, দুটি মনিটর, দুটি সেলাই মেশিনসহ কিছু কাপুড় বাড়ীর বাইরে ফেলে রেখে যায়।মাও. নাছির উদ্দিনের স্ত্রী পল্লীতীর্থ স্কুলের শিক্ষিকা মাহবুবা খাতুন জানায়, আমার ছেলে মিনহাজুল আবেদীন রাত ২টা পর্যন্ত ল্যাপটবে কাজ করে ঘুমিয়ে যায়। রাত পৌনে ৪টার দিকে আমার স্বামী টয়লেট থেকে বের হয়ে দেখে ঘরের দরজা খোলা এবং বিভিন্ন রুমের মধ্যে মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা । এ সময় তিনি লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরা মাথায় কাপুড় বাধা অল্প বয়েসি একজনকে দেখে যাপটে ধরলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এর আগে চোরেরা ৩টি রুম থেকে ৫ভরী স্বার্ণালঙ্গার, দুটি দামী ক্যামেরা, দুটি দামী স্মাট মোবাইল, করোনাকালীন স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলের প্রজেক্টর এবং স্কুলের আলমারি ও বিভিন্ন রুমের তালার চাবী সহ আমাদের জরুরী কাগজপত্র সহ প্রায় ৮লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় চোরেরা ঘরের বাইরে একটি ল্যাপটপ, দুইটি মনিটর, দুইটি সেলাই মেশিন, আইডি কার্ড সহ কিছু মালামাল ফেলে রেখে যায়। মাহবুবা জানায় আমরা জেগে যাওয়ায় বড় ধরণের দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দৌলতপুর থানার এএসআই মহিউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় পুলিশী টহল না থাকায় মাদকসেবী সহ উঠতি বয়েসি কিশোর গ্যাংদের পায়তারা দিতে দেখাযায়। এলাকাবাসীদেও মদ্ধে আঙ্ক বিরাজ করছে।