মাগুরা প্রতিনিধি:আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থায় কিছু কিছু মানুষের অস্তিত্ব যখন শেষ হয়ে যায় তখনই তারমধ্যে সৃষ্টি হয় লোভ লালসা এবং ঘৃণা।
এই শ্রেণীর মানুষ সমাজে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলে, কিন্তু বাস্তব জীবনে ঠিক তার উল্টোটা।
আজ ১২ এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার ২০২২ ইং, পারনান্দুয়ালি রায়পাড়া বউ বাজারের পাশে ভেজাল শিশু খাদ্য তৈরীর একটি কারখানা ধরা পড়ে। আর এই ভেজাল কারখানাটির মালিক মোঃ আক্তার হোসেন।
ছোট ছোট বাচ্চাদের জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও ভেজাল শিশু খাদ্য দিনের-পর-দিন তৈরি করে যাচ্ছেন আক্তার হোসেন।
সমাজের অন্যান্য শিশু বাচ্চাদের কথা না ভাবলেও তার নিজের পরিবার পরিজনদের কথা ভেবে দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল শিশু খাদ্য তৈরি করে যাচ্ছেন এই আক্তার হোসেন।
গোপনসূত্রে ভোক্তা অধিকার বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল শিশু খাদ্য ও অনুমোদনহীন বিষাক্ত শিশু খাদ্যদ্রব্য উদ্ধার করেন।
মাগুরা জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক, মোহম্মদ মামুনুল হাসান জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে, পারনান্দুয়ালী রায়পাড়ায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশু খাদ্য তৈরি কারখানার সন্ধান মেলে।
পরে সেখানে বিপুল পরিমান ভেজাল ও অনুমোদনহীন চকলেট,চিপস, লিচু,আইস বারসহ প্রায় ১০ প্রকারের শিশু খাদ্যদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
এসব খাদ্য অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিন্মমানের রং,ফ্লেবার,ক্যামিকেল ও হোটেলের পরিতাক্ত্য মিষ্টির গাদ দিয়ে প্রস্তুত করা হতো।
কারখানায় তৈরি খাদ্যে ছিলোনা কোন বিএসটিআই এর অনুমোদন। প্রান,রুচি,বোম্বেসহ বিভিন্ন ব্রান্ড কোম্পানির মোড়কে এগুলো বাজারজাত করা হতো।
অভিযুক্ত কারখানা মালিক মোঃ আক্তার হোসেন জানান, সে প্রায় ৪ বছর ধরে এই ভেজাল ও অনুমোদনহীন শিশু খাদ্য তৈরি করে আসছে। তার নেই কোন ব্যবসায়িক ট্রেডলাইসেন্স ও বিএসটিআই এর অনুমোদন।
সে দীর্ঘদিন মালদ্বীপে থাকারপর দেশে এসে পুরান ঢাকায় এক দোকানে কাজ করতো। সেখান থেকে এই কাজ শিখে মাগুরায় এসে নিজে ব্যবসা করছেন।
একাজে সে ছাড়াও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জড়িত। সে আরো জানায় তার এই কারখানায় তৈরীকৃত পন্য মাগুরা জেলাসহ আশপাশের ঝিনাইদহ, নড়াইল, রাজবাড়িতে বিক্রয়ের জন্য সরবরাহ করা হয়।
অভিযান শেষে অভিযুক্ত কারখানা মালিক মোঃ আক্তার হোসেন কে ভোক্তা অধিকারের ৪৩ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষনিক আদায় করা হয়।
এছাড়া মজুদকৃত ভেজাল শিশু খাবার আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। এই অভিযানে ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মোঃ আলমগীর হোসেন, মাঠ ও বাজার পরিদর্শক এবং জেলা পুলিশের সদস্যরা।