ফারুক আহমেদ মাগুরা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ মাগুরা সদর উপজেলার কাপাসহাটি মাদ্রাসায় নিয়োগের নামে একটি চক্র প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৫ই সেপ্টেম্বর সরেজমিনে জানা যায়, মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের কাপাসহাটী গ্রামে ১৯৭৭সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কাপাসহাটী দাখিল মাদ্রাসা। উক্ত মাদ্রাসাটি পুঁজি কত করে মাদ্রাসাটির প্রধান এবং কমিটির সমন্বয়ক নিজেদের আখের গোছাতে মরিয়া। ইতিমধ্যেই তারা সাধারণ জনগণকে মাদ্রাসায় চাকরি পাইয়ে দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছেন আনুমানিক দশ লক্ষ টাকার উপরে। একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অভিনব এই প্রতারণার মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করলেও চাকরি পাইয়ে দিতে পারেননি কাউকে। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চান ভুক্তভোগী পরিবারেরা আর তাতেই সৃষ্টি হয় সংঘাত সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকার সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে সাদা স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেন উক্ত মাদ্রাসাটির সুপার এবং মাদ্রাসাটির সভাপতি। আর তাতেই থেমে নেই এই ভুক্তভোগী পরিবারেরা এরইমধ্যে গত ১১/৯/২০২১ লুৎফর শিকদার নামক এক ব্যক্তি মাগুরা সদর থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগপত্রে দেখা যায়, লুৎফার শিকদার কাপাসহাটী মাদ্রাসার সুপার এবং সভাপতির নামে অভিযোগ দিয়েছেন। তারা ভুক্তভোগীর গোষ্ঠীগত সদস্য সম্পর্কে ভাতিজা হন,নবুয়াত শিকদার (৩৫) পিতা মৃত রহমান সিকদার এবং মোবাশ্বের হোসেন (৪০) পিতা দনি শিকদার। অভিযোগপত্রে আরো দেখা যায়,গত ২৫/৬/২০২০ কাপাসহাটী ‘বলফিল্ডঃ থেকে সন্ধ্যা সাত ঘটিকায় লুৎফর শিকদারের ছেলে জাকির শিকদারের চাকরির জন্য তিন লক্ষ ৫০হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন এবং বাকি চার লাখ টাকা চাকরি জয়েন্টের সময় পরিশোধ করার কথা ছিল। কাপাসহাটী গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আনুমানিক ৫ থেকে ৬জন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে, কিন্তু কাউকে চাকরি দিতে পারেননি। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তারা হলেন, মোঃলুৎফর শিকদার তার কাছ থেকে নিয়েছেন তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। বাঁকা মন্ডল পিতা খালেক মণ্ডল, কবির মন্ডল, নওশের আলী বিশ্বাস, এবং ইয়াসিন মোল্লার কাছ থেকে নিয়েছেন লক্ষাধিক করে টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাপাসহাটী গ্রামের একাধিক জনতা সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে বলেন, এই মাদ্রাসা কর্তৃক চাকরির প্রলোভনে আমাদের এলাকার অনেকেই টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন একাধিকবার ভুয়া ভাবে সালিশ লেখার চেষ্টা করেছেন ব্যর্থ হয়েছেন আমরা এর আইনি ব্যবস্থা চাই। ৭ নং মঘী ইউনিয়ন পরিষদের সাত নং ওয়ার্ডের মেম্বার সদস্য হাসান তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং জানতে পেরেছি তারা কয়েকবার ভুক্তভোগী ওই পরিবারকে সালিশের নামে স্বৈরাচারীতা চালিয়ে আসছে তাদের টাকা পরিপূর্ণ ফেরত দেয়নি। মাগুরা ৭নং মঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেবাকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, আমি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছি তবে আপনাদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি এর আগেও শুনেছি ওখানে কিছু একটা ঝামেলা হয়েছে। মাগুরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মালা রানী জানান,কাপাসহাটী দাখিল মাদ্রাসায় তো কোন নিয়োগ বিজ্ঞাপন দেয়া হয়নি,তবে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি কমিটি এবং মাদ্রাসা প্রধান জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে । জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আলমগীর কবীর (ভারপ্রাপ্ত)জানান,আমি আপনাদের থেকে বিষয়টি অবগত হলাম অবশ্যই বিষয়টি আইনগতভাবে খতিয়ে দেখা হবে। মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন কবির জানান, আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নেবো। কোনও অনিয়ম এবং জালিয়াতি প্রমাণিত হলে আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মাগুরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আফাজ উদ্দিন কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এ সকল বিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসাটির প্রধান নবুয়ত শিকদার,এবং মোবাশ্বের শিকদার টাকা নেয়ার বিষয় শিকার করেন সাংবাদিকদের কাছে এবং তিনি বলেন, টাকা ফেরত দিয়েছি। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার লুৎফর রহমান সিকদার তিনি বলছেন, আমাকে কোন টাকা ফেরত দেয়নি আমার ছেলের চাকরিও দেয়নি তাই বাধ্য হয়ে প্রতারণার মামলা দিয়েছি মাগুরা সদর থানায়।