সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারে বাধা দেয়ায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের হাট সারটিয়া গ্রামের অন্তত: ১০টি বসতবাড়ি, দোকানপাট, টিভি-ফ্রিজ, মটরসাইকেল ও সিএনজি ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম, তার বড় ভাই ইউপি সদস্য আব্দুল মোমিন ও সাবেক ইউপি সদস্য মজিবর প্রমানিকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে এসেছে।রোববার ২৫ জুলাই রাতে এ ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ।আটকরা হলেন, সয়দাবাদ ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ডিগ্রির চরের মজিবর প্রমানিক, তার ভাতিজা হাট সারটিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, মেয়ের জামাই সয়দাবাদ গ্রামের আব্দুল করিম ও ডিগ্রির চরের মাসুদ রানা।সয়দাবাদ ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ইউনুস আলী জানান, সয়দাবাদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মোমিন দীর্ঘদিন যাবত হাটসারটিয়া গ্রামে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে, পাশাপাশি সম্প্রতি লকডাউনের মধ্যে ইউপি সদস্য মোমিন বিকট শব্দে বক্স বাঁজিয়ে তার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলামের পক্ষে হাটসারটিয়া গ্রামের মোড়ে মোড়ে লোকজন জমায়েত করে প্রচারনা চালাতে থাকে। এ সব কাজে বাধা প্রদান এবং প্রতিবাদ করলেই তার সাথে শুরু হয় শক্রতা,ইউনুস আলী আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় হাটসারটিয়া ইউসুফ আলীর বেকারীর দোকানের সামনে মোমিন বিকট শব্দে বক্স বাঁজাতে থাকে। স্থানীয় লোকজন নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোমিন বক্স বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরই জেরধরে দলবল নিয়ে মোমিন রোববার সকালে পুনরায় ওই এলাকায় গিয়ে স্থানীয় লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি-ধামকি দেয়। ওই দিন বিকেলে আবারও ওই এলাকায় অর্তকিত হামলা চালিয়ে হাটসারটিয়া গ্রামের সাদ্দাম, জহুরুল, আলী আকবর, আব্দুর রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজনকে মারপিট করে। এতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে মোমিন মেম্বরকেও মারপিট করে। এরই জেরধরে রাতে ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি সদস্য মজিবর প্রমানিকের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন গিয়ে অন্তত: ১০টি বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে।এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল মোমিন সোমবার মোবাইলে জানান, দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র হাটসারটিয়া গ্রামে মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাতে বাধা দেয়ার কারনে বেশ কয়েকজন মিলে আমাকে মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে আমি হাসপাতালে ভর্তি আছি,হামলা ও ভাংচুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মারপিটের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য রাতের আধারে নিজেরাই নিজেদের বসতবাড়ি ভাংচুর করে চক্রটি আমাদের উপরে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে,এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলামের মোবাইলে কল দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় সদর থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, ইউপি সদস্য আব্দুল মোমিনের সাথে হাটসারটিয়া এলাকার লোকজনের সাথে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শক্রতা চলে আসছিল। এরই জেরধরে মারপিটে মোমিন আহত হন। এরপর তার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৪জনকে আটক করা হয়। উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলা না হওয়ায় আটকদের ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
২ views