মোঃ সোহেল শিকদার মাদারপুর জেলা প্রতিনিধি: মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্য ও তার ছেলেসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১২ জন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে খুনের চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তার শিকদার (৪০), তার ছেলে মারুফ শিকদার (১৮) ও একই গ্রামের রশিদ মৃধার ছেলে সিরাজুল মৃধা হয়েছে। নিহত মারুফ শরীয়তপুর পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তার শিকদারের সাথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সুমন চেয়ারম্যানের লোকজন আক্তারের বসত ঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে নিজের পোড়া ঘর দেখতে গ্রামে আসেন ইউপি সদস্য আক্তার সিকদার। এ সময় সুমন চেয়ারম্যানের লোকজন আত্মার সিকদার গংদের উপরে হামলা চালালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় খুনের চর গ্রামের মতি শিকদারের ছেলে ইউপি সদস্য আক্তার সিকদার ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা-বরিশাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় ইউপি সদস্যের ছেলে মারুফ সিকদার এবং শরীয়তপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়,সিরাজুল মৃধা নামের এক জন। এছাড়াও জানা যায়, নিহত আক্তার সিকদারের বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরক ও মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১২ জন আহতদের মধ্যে ২ জন আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ,সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা কাজ করছেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। হত্যাকারীদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব নিয়োজিত রয়েছে।