মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রথমবারের মতো জিতে চমক তৈরি করেছে বিএনপি। নৌকা মার্কার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই এলাকাটিতে দলের প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।১৯৯৭ সালে গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম সেখানে মেয়রের চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান মানিক।কেবল পৌর নির্বাচন নয়, ওই এলাকায় এর আগে কখনও কোনো ভোটে বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই আসতে পারেনি।শনিবারের ভোটে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হাবিব জিতেছেন পাঁচ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে। দ্বিতীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়া পংকজ কুমার সাহা। তিনি নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন চার হাজার ১৫৬টি।পংকজ গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হিরেন্দ্র লাল সাহার ছোট ভাই।ক্ষমতাসীন দলের আরেক বিদ্রোহী দুইবারের সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মুসলিম এখানে তৃতীয় হয়েছেন। জগ মার্কায় তিনি পেয়েছেন তিন হাজার ৪৯টি।অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী শ্রীধাম দাশগুপ্তের নৌকায় ভোট পড়েছে মাত্র ৫৬৮। যত ভোট পড়েছে তার সাড়ে ১২ শতাংশ না পাওয়ায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বিভক্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল। যদিও পদধারী নেতারা বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে মাঠে নামেননি। কিন্তু অনেকেই দুই জনকে সমর্থন করছেন আড়াল থেকে।ভোটের আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শ্রীধাম দাশগুপ্ত বলছিলেন, তার এলাকার মানুষ ভোট দেয় নৌকা মার্কায়। দলের দুই নেতা প্রার্থী হলেও তার কোনো ক্ষতি হবে না।সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট চলে মাধবপুরে। সেখানে ভোট হয়েছে ব্যালটে। বিতর্ক এড়াতে কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হয় ভোরে।২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের পৌর নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলার শায়েস্তাগঞ্জেও নৌকার প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে। সেখানেও জয় পেয়েছে বিএনপি।মাধবপুরের মতোই শায়েস্তাগঞ্জেও একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের পরাজয়ের কারণ হয়েছেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]