মানিকগঞ্জের সিংগাইরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. লিটন মিয়া নামে এক যুবক খুন হয়েছে। খুন হওয়া লিটন সিংগাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জমিতে ধান কাটতে যাওয়ার সময় কৃষি শ্রমিকরা গোলাইডাঙ্গা ফাঁকা রাস্তায় ব্রিজের নিচে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে খবর পেয়ে নিহতের বড় ভাই সুরুজ মিয়া তার ছোট ভাই লিটনের লাশ বলে শনাক্ত করেন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সিংগাইর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে এবং সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নিহতের বড় ভাই সুরুজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন,গত ২২ নভেম্বর সরিষা ভাঙাতে গিয়ে খৈল নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে মারধর করে বাস্তা গ্রামের সমশের উদ্দিনের ছেলে গৈজুদ্দিন।
এরপর ২৫ নভেম্বর স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় সালিশী বৈঠকের কথা বলে উপস্থিত করে। পুনরায় দা দিয়ে কুপিয়ে এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করে আমার ছোট ভাই নিহিত লিটনকে ও ভাগিনাসহ আমাকে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বুধবার চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আসি। পরদিন ছোট ভাই লিটন বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সারারাত অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো খোঁজ পাইনি।
শুক্রবার (০৩-১২-২০২১)ইং সকালে খবর পেয়ে বাস্তা ব্রিজের নিচে লাশ পড়ে থাকা ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ব্রিজের নিচ থেকে রশি পেঁচানো লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
সিংগাইর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, খুনের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন, খুনিদের শনাক্ত, আসামি গ্রেফতার ও অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।