দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ ও ২০১৯–২০ অর্থবছরের টিআর কর্মসূচির আওতায় মানিকছড়ির ৯৪ টি অসহায় ও গৃহহীন পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণের বরাদ্দ হয়েছে। এ প্রকল্পে হতদরিদ্র অসহায় পরিবার, যাদের সামান্য জমি আছে, কিন্তু ঘর নেই, তাদের নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা। আর আশ্রয়ন–২ প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১২ টি বিশেষ ডিজাইনের ঘর নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা।
এ টাকায় পরিবারগুলোকে দেওয়া হচ্ছে একটি দুর্যোগ সহনীয় দু’কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ঘরের সঙ্গে রান্না ঘর, বেলকুনি ও টয়লেট।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে জরিপ চালিয়ে উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে ৯৪ টি পরিবারের তালিকা করা হয় মানিকছড়ি উপজেলায়। এর মধ্যে ৮৪ টি ঘর উপকার ভোগী পরিবারের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আর বাকি ১২ টি ঘর প্রায় শেষের দিকে।
অনিয়ম ঠেকাতে প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ সার্বক্ষণিক তদারকি করে মেয়াদকালের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ করেন।এরই মাঝে নির্মিত নতুন ৮৪ টি বাসগৃহে বসবাস করতে শুরু করেছে পরিবারগুলো।
সরেজমিনে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দৃশ্য দেখতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গচ্ছাবিল এলাকায় গেলে মৃত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মোসাম্মৎ মরম চাঁন বিবি বলেন, আমরা খুব গরীব মানুষ। স্বামী মারা যাওয়ার পর জীবন যাপন করতে অনেক কষ্ট হয়ে ছিল।এমন সময় প্রধানমন্ত্রী একটি সুন্দর ঘর দেওয়ায় অনেক উপকার হয়েছে।
উপকার ভোগী নুনু চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি সাহায্য না করত তাহলে আমাদের এই ঘর সারা জীবনেও বানানো সম্ভব ছিল না।এখন বুঝতে পারছি সরকার গরীব মানুষের জন্য কত বড় মহৎ কাজ করছে।
দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বাসগৃহগুলো নির্মাণের সময় উপকরণের গুণগত মান বজায় রেখে কাজ করা হয়েছে।
প্রকল্পের ব্যাপারে মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সার্বিক তদারকিতে সুষ্ঠুভাবে যারা বাসগৃহ পাওয়ার উপযুক্ত তাদেরকেই এগুলো দেওয়া হয়েছে। অসহায় মানুষের কল্যাণ, উন্নয়ন ও পূর্নবাসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।