ঝিনাইদহের মহেশপুরের জলিলপুর গ্রামে আপন মামা ও নানার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।
বৃহস্পতিবার সকালে মহেশপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, তার আপন ভাগ্নে এজেএম নুর ই আলম ও তার পিতা সামছুল আলমের সাথে,আমি সহ কিয়ামত আলী ও নাজিম উদ্দীনের শরিকানা জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে।
বিবাদটি সমাধানের জন্য কয়েকবার সামাজিকভাবে উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করা হয়। কিন্তু এজেএম নুর ই আলম না মানায় ঝিনাইদহ ৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল ও মহেশপুর পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি কয়েকবার সমাধানের চেষ্টা করেন। সেটিও তিনি অমান্য করেন। পরবর্তীতে এজেএম নুর ই আলম একজন আইনজীবী হওয়ায় বিষয়টি অমান্য করে বিভিন্ন সময়, ঘটনা ও মিথ্যা স্বাক্ষী বানিয়ে তার আপন মামা ও নানা সহ ১২টি পরিবারের ১২ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন সহ একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে চলেছে। ঐ মিথ্যা মামলায় আমাকে সহ ২জনকে গ্রেফতার করা হয়। সরেজমিনে তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া মিলন ও বিজ্ঞ আইনজীবী সহ ঝিনাইদহ ৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল ও মহেশপুর পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান ঘটনাস্থলে আসেন এবং উভয়পক্ষকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন। আইনজীবী সমিতি বিষয়টি তদন্ত করে এজেএম নুর ই আলমের আনীত মামলার কোন সত্যতা নেই এই প্রসঙ্গে একটি তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে পেশ করেন এবং মিথ্যা মামলায় আটককৃত আসামীদের জামিনের সুপারিশ করেন। বিজ্ঞ আদালত আমাদেরকে জামিন প্রদান করেন। বাদী এজেএম নুর ই আলম আমাদেরকে আবারও আটক করানোর জন্য আদালতে পায়তারা করতে থাকে এবং আরো কঠিন মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমাদের কাউকে ঘরে ঘুমাতে দেবেনা বলে দম্ভোক্তি দেখায় এজেএম নুর ই আলম। গত ১২ই জানুয়ারী রাতে আমাদেরকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হতে না পেরে গুমের মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। সকল ধরনের মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রান ও মিথ্যা মামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য গন-মাধ্যমের মাধ্যমে দাবি জানাচ্ছি।