পাওলো দিবালা, আলভারো মোরাতায় সাজানো জুভেন্টাসের আক্রমণভাগ জ্বলে উঠতে পারল না। চোট পেয়ে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ মাঠ ছাড়ার পর রাফায়েল লেয়াও, অলিভিয়ে জিরুদও পারলেন না এসি মিলানকে গোল এনে দিতে। আক্রমণভাগের বিবর্ণতায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করল দুই দল। সান সিরোয় রবিবার রাতে সেরি আর ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
শুরু থেকে গতিময় ফুটবলের পসরা মেলে দুই দলই, কিন্তু আক্রমণ শানানোর ক্ষেত্রে ছিল বড্ড মলিন। ১৩ মিনিটে সতীর্থের লং পাস ধরে একটু এগিয়ে বক্সের ঠিক ওপর থেকে হুয়ান কুয়াদরাদোর নেওয়া শট যায় পোস্টের বাইরে। প্রথমার্ধে জুভেন্টাস কোনো শটই রাখতে পারেনি লক্ষ্যে! ১৮ মিনিটে ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে লেয়াওয়ের শট ঝাঁপিয়ে ফেরান জুভেন্টাস গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি। পোস্টে এটাই ছিল মিলানের প্রথম আক্রমণ।
আগের ম্যাচে স্পেৎসিয়ার কাছে হেরে আসা মিলান ২৭তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় চোট পেয়ে ইব্রাহিমোভিচ মাঠ ছাড়লে। বদলি নামেন আন্তে রেবিচ। এর পর জুভেন্টাসের আক্রমণে কিছুটা গতি আসে, কিন্তু দিবালা-মোরাতারা পারেননি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে।
দ্বিতীয়ার্ধে মিলানের আক্রমণে ধার বাড়ে। ৫১তম মিনিটে জুভেন্টাসের মোরাতার হেড খুঁজে পায়নি ঠিকানা। ৫ মিনিট পর জিরুদের পাস ধরে মিলানের লেয়াওয়ের ডান পায়ের শট ফেরান গোলরক্ষক। একটু পর থিও এরনঁদেজের শট, জিরুদের হেড ফিরিয়ে জুভেন্টাসের ত্রাতা স্ট্যাসনি।
এর পর সময় কেবল গড়িয়েছে। দুই দলের আক্রমণভাগের মলিনতা কাটেনি। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, ৮ শটের মধ্যে মিলানের পোস্টে কোনোটিই রাখতে পারেনি জুভেন্টাস।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]