বিধান মন্ডল, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। দূর্ঘটনার পরপরই বাসের নিচে থাকা দূর্ঘটনা কবলিত মটর সাইকেলের ঘর্ষনের ফলে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
আজ শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর কলেজ মোড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, মুকসুদপুর উপজেলার চন্ডীবর্দী গ্রামের আনু সরদারের ছেলে ফয়সাল সরদার (৩৫), একই গ্রামের সফি শেখের ছেলে লিয়াকত শেখ (২৫) ও গোপীনাথপুর গ্রামের বিল্লাল ঠাকুরের ছেলে আল আমিন (২২)।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, একটি মোটর সাইকেলে করে তিন আরোহী মুকসুদপুর থেকে গোপালগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোটর সাইকেলটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে উঠতে গেলে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গোল্ডেন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪৭৬৯৪) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
এতে মোটর সাইকেল থেকে তিন যাত্রী মহাসড়কের ছিটকে পড়লে ঘটনাস্থলে ফয়সাল নিহত হন। এসময় বাসটি মোটর সাইকেলটিকে নিয়ে দুই কিলোমিটার দূরে ফরিদপুরের সালথা উত্তর চন্ডিবরদী এলাকায় গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে মহাসড়কে। বাসের নিচে থাকা মটরসাইকেলের ঘর্ষনের ফলে আগুন ধরে যায় বাসটিতে।
পরে পুলিশ ও মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হত-হতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত ডাক্তার আল আমিনকে মৃত ঘোষনা করেন। মারাত্মক আহত লিয়াকতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে লিয়াকত মারা যান। ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
পরে মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের অপর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসের আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে বাসের কোন যাত্রী আহত হননি। দূর্ঘটনার পরপরই ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মহাসড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা করে।
মুকসুদপুর ফায়ার সর্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজীব হোসেন জানান, মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিভিয়ে দূর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধার করে। এক ঘন্টার পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।