কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার মেধাসিঁড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থী মুজাহিদকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও খুনীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্বারকলিপি দেওয়া হয়।
আজ বুধবার উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে সকাল ১০টা থেকে ১১পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান খান মিলন, আওয়ামী লীগ নেতা আবু হানিফ হাওলাদার ঝন্টু, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাবুল হাজরা, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি অশোক কর্মকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন, কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মাইনুল ইসলাম রিমু, মেধাসিঁড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক লিটন শিকদার, নিহত মুজাহিদের পিতা সেকেন্দার হাওলাদার বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা, দ্রæত সময়ের মধ্যে খুনীদেরকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানায়।
মানববন্ধন শেষে হত্যার শিকার মুজাহিদের পিতা সেকেন্দার হাওলাদারের সাক্ষরিত একটি স্বারকলিপি কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া হয়।
স্বারকলিপিতে সেকেন্দার হাওলাদার উল্লেখ করেন, উপজেলার কুরপালা গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফেরদাউস শেখ, জামাল শেখ, কালাম শেখ, কবির শেখ, সিফাত শেখ, মাসুদ শেখ, মুজাহিদ শেখগং তার পুত্র মুজাহিদ হাওলাদারকে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে দ্রæত খুনীদের গ্রেফতার দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ স্বারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি নিহত মুজাহিদের পিতা সেকেন্দার হাওলাদারের একটি স্বারকলিপি পেয়েছি। স্বারকলিপিটি আমি দ্রæত সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, মুজাহিদ হাওলাদার হত্যার মামলার কিছু আসামী জামিনে আছে ও কিছু আসামী পলাতক রয়েছে। এই পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে মুজাহিদ হাওলাদার হত্যা মামলার আসামীরা এলাকায় না থাকা ও তাদের মুঠোফোন বন্ধ থাকার কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।