মঙ্গলবার রাতে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মধ্য কোর্টগাও এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শৈবাল বসাক জানান,সন্ধ্যা ৬টার দিকে অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার এক যুবক।তিনি নিজেকে মেয়েটির ভাই বলে পরিচয় দেন।এসময় মেয়েটি অচেতন ছিলো।পরে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়।কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।নিহত স্কুলছাত্রীর বড় ভাই জিদান অভিযোগ করেন,সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রতিবেশী আরিফুর রহমানের ছেলে বিজয় ফোন দিয়ে তাকে জানায় জেসি হাসপাতালে। সে তাদের বাসার ছাদ থেকে পড়ে গেছে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে এসে অ্যাম্বুলেন্সে বোনকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হই।পথে মুক্তারপুর সেতু পার হতেই দেখি তার শ্বাস-নিঃশ্বাস চলছে না।এরপর তাকে ঢাকা না নিয়ে হাসপাতালে ফেরত আসি।হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসক জানান সে মারা গেছে।জিদান বলেন, ‘আমার বোন কীভাবে তাদের বাসার ছাদে গেল জানিনা।ওরা আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে বাসার ছাদে নিয়ে মারধর করে মেরে ফেলেছে।
অভিযোগের বিষয়ে শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন,আমার বাসার ছাদ খোলা থাকে।মেয়েটি কীভাবে আমার বাসার ছাদে উঠেছে আমরা বুঝতে পারছি না। আমার বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে বলে শুনেছি।আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছি।হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার্ড করে।এরপর শুনেছি সে মারা গেছে।আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়।সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন,ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে।হত্যার অভিযোগ এবং প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য ধরে আমরা কাজ করছি।ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বলা যাবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা।