আরিফুর রহমান আরিফ মুন্সীগঞ্জ-০৩ আসনের এমপি সাহেবের একান্ত লোক অপরদিকে আদিবার বাবা পঞ্চসার ইউনিয়নের মেম্বার জাহিদ রহমানও এমপির একান্তভাজন। তারপরেও দ্রুত সময় পুলিশ আদিবাকে গ্রেফতার করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারায় প্রশংসায় ভাসছে পুলিশ।তবে অজ্ঞাত কারণে প্রধান আসামী বিজয় রহমান ওরফে বিজুকে কেন গ্রেফতার করতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে তাও জানতে চায়?এখানে কোন অদৃশ্য কোন শক্তি কাজ করছে কিনা এমন প্রশ্নও অনেকে করেছেন সাংবাদিকদের কাছে।
এভিজেএম স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে পৌরসভার সামনে হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।পরে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে দীর্ঘ ২ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।এ সময় শিক্ষার্থীরা জেসি হত্যার বিচার চেয়েছে এবং হত্যাকারীদের ফাঁসীর দাবী করেছে।দিনবর জেসি হত্যার আসামীদের ফাঁসির দাবীতে উত্তাল ছিল মুন্সীগঞ্জ।অবশেষে পুলিশ অল্প সময়ের মধ্যে জেসি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে।জেসি হত্যাকান্ডে নেপথ্যে ছিল ত্রিভুজ প্রেম কাহিনী।জেসি হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বিজুর প্রেমিকা আদিবাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।আদিবা এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা ইতোমধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছেন।এ হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামী বিজয় রহমান বিজু এখনো পলাতক রয়েছে।তবে যে কোন সময়ের মধ্যে বিজু গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।বিজয় রহমান বিজু প্রেমিকা জেসি ও আদিবা উভয়ের সাথে প্রেম চালিয়ে যাওয়ার কারণেই জেসি ত্রিভুজ প্রেমের বলি হয়েছে।বিজয় রহমান বিজু হচ্ছেন শহর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ এর সাবেক সদস্য আরিফুর রহমান আরিফের পুত্র।আর আদিবা হচ্ছেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জাহিদ রহমানের কন্যা।জেসি হচ্ছেন মহাকালী ইউনিয়নের সাতানিখিল গ্রামের সেলিম দেওয়ানের কন্যা। জেসি মুন্সীগঞ্জ শহরের এভিজেএম সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী।