ঘটনার বিবরণে নিহত জেরিনের মা সাহিদা বেগম জানান,আমার মেয়ে প্রথম বাচ্চা নেওয়ার পর জরায়ুতে সমস্যা হয়।ডাক্তার ২য় বাচ্চা নিতে নিষেধ করছিলো।কিন্তু ওর স্বামী জোড় করে ২য় বাচ্চা নিতে চায়।এতে আমার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ্য হয়।পরে আমার মেয়েকে আদ্বদ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসা করাই।সে সময় মেয়েকে বাচাঁতে জরায়ু কেটে ফেলতে হয়।মেয়ে জামাই ওর মা বোনদের কুপরামর্শে আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে অমানবিক নির্যাতন করতে থাকে। ওরা নির্যাতন করে আমার মেয়েকে মাইরা ফেলছে।মাইরা ফালানোর পরে ওরা বাথরুমে নিয়া যায় এ সময় আমার স্বামী মেয়ের মোবাইলে ফোন দিলে আমার নাতিন মুসকান বলে নানা ভাই আমার বাবা আমার মাকে মাইরা ফেলছে।পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে গেলে ডাক্তার আমার মেয়েকে মৃত ঘোষনা করে।এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো:তারিকুজ্জামান জানান,এ ঘটনায় মামলার মূল আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মধ্যেমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।মামলাটির তদন্ত চলছে।উল্লেখ্য,গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরেশ্বরাই গ্রামের স্বামীগৃহে রহস্যজনক ভাবে মারা যায় জেরিন।পুলিশ মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল হতে নিহত জেরিনের লাশ উদ্ধার করে।প্রাসঙ্গিক,নিহত জেরিন সদর উপজেলার নৈপুকুর-পাড় গ্রামের জামাল ভূইয়ার মেয়ে। ২০১৬ সালে একই উপজেলার মীরশ্বরাই গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে মুরাদ হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়।বৈবাহিক জীবনে মুসকান নামে তাদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।এ ঘটনায় নিহত জেরিনের মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে মুরাদ হোসেন তার বাবা মনির হোসেন মা উম্মে কুলসুম এবং বোন মনিকা শারমিনকে বিবাদী করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।এ ঘটনায় পুলিশ মুরাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে মুন্সীগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে।