জামালপুর সংবাদদাতা \ জামালপুরের মেলান্দহে হ্মপুত্র নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ পন্থায় বালি উত্তোলন বেড়েই চলেছে। কয়েক বছর যাবৎ বালি উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তনসহ কৃষি জমি, বসতবাড়ি, ব্রিজ, পাকা রাস্তা, টুপকারচর পাইলিংসহ কয়েকটি এলাকা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
এ ছাড়াও শ্যামপুর হাই স্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেঘারবাড়ি-কাঙ্গালকুর্শা-শ্যামপুর গ্রাম, কমিউনিটি ক্লিনিক, বিশ^রোড, টুপকারচর গ্রাম ও পাইলিংসহ আশপাশ এলাকায় হুমকির মুখে পড়েছে। বন্যার জন্য দু’মাস বালি উত্তোলন বন্ধ থাকার পর আবারো শুরু হয়েছে বালি উত্তোলনের মহোৎসব।
কাজাইকাটা গ্রামের আবু তারেক, টুপকারচরের আজাহার উদ্দিন, শহিদুল্লাহ, আ: মালেক এবং জালালপুরের বিশু গংরা ক্রমাগত বালি উত্তোলন করছে। বালি উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাইনি। এতে অভিযোগকারিরা বেকায়দায় পড়েছেন।
প্রশাসনের কাছে অভিযোগকারিদের মধ্যে শ্যামপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, টুপকারচরের সোহাগ মিয়া জানান-বালি উত্তোলনকারিরা দাম্ভিকতার সাথে এলাকায় বলাবলি করছে অভিযোগ করেও লাভ হবে না। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় সাংবাদিক ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে।
শ্যামপুর আ’লীগ সভাপতি খলিলুর রহমান মাস্টার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- কিছুদিন আগে ডেফলা ব্রিজের পাশ থেকেই বালি উত্তোলন চলছিল। এখন একটু দুরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদী থেকে বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। আগে চলতো দিনে, এখন চলে রাতে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামীন জানান-শ্যামপুর-টুপকারচর এলাকায় বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানও চালিয়েছিলাম। কিছু পাইনি। এরপরও যদি চলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]