জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের মেলান্দহে রিক্সাচালক নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর রিক্সা উদ্ধারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ১২অক্টোবর নয়ানগর ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে আঃ মালেক (৩০) প্রতিদিনের ন্যায় জীবিকার তাগিদে রিক্সা নিয়ে মেলান্দহের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন। পরদিন দুলালের স্ত্রী রিতা বেগম (২৪) মেলান্দহ থানায় জিডি করেন।
ওদিকে নিখোঁজ মালেকের স্বজনরাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে নাংলা ইউনিয়নের নলকুড়ি গ্রামের কানু শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২) এর বাড়িতে রিক্সাটির সন্ধান পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ শফিকুলের বাড়িতে হানা দিয়ে হারিয়ে যাওয়া রিক্সাসহ শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত শফিকুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরো একজনকে গ্রেপ্তারসহ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গতকাল শনিবার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নাংলা ইউনিয়নের বিভিন্ন জলাশয়ে নিখোঁজ আঃ মালেকের মৃত উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়েও পাওয়া যায়নি।
অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম খান জানান-শফিকুল একেক সময় একেক তথ্য দিচ্ছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজ মালেকের লাশের সন্ধান করেও পাওয়া যায়নি। সে পুলিশকেও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। এজন্য তথ্যের যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। ১৮অক্টোবর বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
এলাকাবাসি জানিয়েছেন-গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল একজন পেশাদার চোর, দুস্কৃতিকারি এবং জুয়াড়ি। বুরুঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা-নয়ানগর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ফকির আবু বকর সিদ্দিকসহ অপরাপর লোকজন জানান-১২অক্টোবর আঃ মালেককে মেলান্দহ রেলস্টেশন এবং শিমুলতলী এলাকায় তাকে রিক্সা চালাতে দেখেছেন।
নিখোঁজ আঃ মালেকের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে স্বজনদের শোকের মাতম। যতই দিন যাচ্ছে, আঃ মালেক জীবিত কিংবা মৃত না জানতে পেয়ে তাদের মাঝে ক্ষোভের দানা বেধেছে।