নিজে করলেন এক গোল, সতীর্থের এক গোলে রাখলেন সরাসরি অবদান এবং বানিয়ে দিলেন অন্য আরেকটি গোল- রিয়াল ভায়োদলিদের বিপক্ষে যেন নিজের সেরা পারফরম্যান্সটাই দেখালেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসি। তার জাদুকরী খেলার দিন চিরচেনা রূপে ফিরেছে বার্সাও। মঙ্গলবার রাতে ভায়োদলিদের মাঠ থেকে ৩-০ গোলের সহজ জয় নিয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা।
ভায়োদলিদকে তাদের মাটিতে হারিয়ে লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে প্রায় তিন মাস পর জয়ের দেখা পেলো বার্সেলোনা। সবশেষ ১ অক্টোবর সেল্টা ভিগোর মাঠ থেকে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল তারা। এরপর হেরেছে গেটাফে, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও কাদিজের কাছে; ড্র হয়েছিল আলাভেসের মাঠে খেলা ম্যাচটি।
প্রতিপক্ষের মাঠে সাম্প্রতিক এই হতাশার গল্পটা বদলে দিয়েছেন মেসিরা। ম্যাচের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত সমান চাপে রেখেছেন ভায়োদলিদকে। ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রায় পুরোটা সময় নিজেদের রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিলেন ভায়োদলিদের খেলোয়াড়রা। দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
পুরো ম্যাচে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় বলের দখল নিজেদের কাছে রেখেছিল বার্সেলোনা, গোলের জন্য আক্রমণ করেছে অন্তত ২১ বার। যেখানে লক্ষ্য বরাবর ছিল ১০টি শট। কিছু লক্ষ্যভ্রষ্ট শট কিংবা দুর্বল ফিনিশিং না হলেও জয়ের ব্যবধান অনায়াসেই ৪-০ বা ৫-০ হতে পারতো।
ম্যাচের ২১ মিনিটে প্রথম গোল করেন লংলে। মেসির জোরালো শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়েছিলেন গোলরক্ষক। সেই কর্নার থেকে গড়া নতুন আক্রমণে বাম পাশ থেকে ডি-বক্সের মধ্যে ক্রস বাড়িয়ে দেন মেসি। গোলপোস্টের মাত্র ৬ গজ দূর থেকে লাফিয়ে ওঠা হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন লংলে।
দ্বিতীয়ার্ধের বিরতির আগেই পরের গোলও পেয়ে যায় বার্সেলোনা, যেখানে ছিল ছন্দময় খেলার ছাপ। পাসিং ফুটবলের এক প্রদর্শনী করে গোলটি আসে ব্রাথওয়েটের পা থেকে। ডিফেন্ডাররা ঘিরে ধরেছিলেন মেসিকে, সেখান থেকেই দারুণ এক ফ্লিকে তিনি বল বাড়িয়ে দেন সার্জিনো ডেস্টকে, যার কাছ থেকে বল পান ব্রাথওয়েট এবং খুঁজে নেন জালের ঠিকানা।
বিরতির পর মাঠে নেমেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু প্রথমবার তার জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান ভায়োদলিদ গোলরক্ষক। তবে ৬৫ মিনিটের সময় পেদ্রির কাছ থেকে পাওয়া বল নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোলে পরিণত করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে মেসির এটি ৬৪৪তম গোল। যার সুবাদে তিনি গড়লেন এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। এতদিন ধরে রেকর্ডটি ছিল পেলের দখলে, সান্তোসের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪৩ গোল করেছিলেন তিনি। এবার সে রেকর্ড ভেঙে দলের জয়ও নিশ্চিত করেছেন মেসি।
তিন গোলের এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম অবস্থান ধরে রেখেছে বার্সেলোনা। এপর্যন্ত খেলা ১৪ ম্যাচে সাত জয় ও তিন ড্রয়ে ২৪ পয়েন্ট রয়েছে তাদের। শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ঝুলিতে রয়েছে ১৩ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট, ১৪ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে অবস্থান রিয়াল মাদ্রিদের।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]