করোনাভাইরাসের ধকল কাটিয়ে মাঠে ফিরলেন লিওনেল মেসি। অবশেষে গায়ে জড়ালেন ১০ নম্বর জার্সিও। কিন্তু এমন প্রত্যাবর্তনটা সুখকর হলো না আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরের।
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) হারিয়ে ফরাসি কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছে নিস। প্যারিসে সোমবার রাতে শেষ ষোলোয় নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে প্রতিযোগিতাটির গতবারের ও রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও নিসের রক্ষণের সামনে অসহায় দেখিয়েছে পিএসজিকে। নির্ধারিত সময়ে তাদের বলার মতো বড় সুযোগ দেয়নি নিস।
ফরাসি কাপের নিয়ম অনুযায়ী, শেষ ষোলোয় শুরুর একাদশে থাকা খেলোয়াড়দের পরতে হয় ১ থেকে ১১ নম্বর জার্সি। সেই নিয়মের কারণে এদিন ৩০ নম্বর ছেড়ে বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি গায়ে জড়ান মেসি।
ফেরার দিনে আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর খুব খারাপ করেছেন বলার উপায় নেই। কিন্তু নেইমার-এমবাপেকে ছাড়া খেলতে নামা পিএসজি গোলমুখ খুলতে পারেনি।
পিএসজি প্রথমার্ধে সবচেয়ে বড় সুযোগটা পায় ২২তম মিনিটে। ডি-বক্সে মেসি পাস দেন আন্দের এররেরাকে। কিন্তু এই মিডফিল্ডারের বাড়ানো বল বাইরে মেরে দেন মার্কো ভেরাত্তি।
প্রথমার্ধে কেবল একটি শটই লক্ষ্যে রাখতে পারে স্বাগতিকরা। সেটিও বিরতির বাঁশি বাজার একটু আগে। সেই শট সরাসরি গোলরক্ষক বরাবর মারেন মেসি।
৬৪তম মিনিটে মাউরো ইকার্দিকে তুলে কিলিয়ান এমবাপেকে নামান পিএসজি কোচ। কিন্তু মাঠের ফুটবলে পিএসজির দাপট দেখা যায়নি তারপরও। নির্ধারিত সময় গোলশূন্য ড্র থাকে ম্যাচ।
টাইব্রেকারে এসে কপাল পুড়ে পিএসজির। নিজেদের প্রথম তিন শটে বল জালে পাঠায় নিস। পিএসজির প্রথম দুটি শটে জাল খুঁজে নেন মেসি ও এমবাপে। কিন্তু পারেদেসের নেওয়া তাদের তৃতীয় শট ঠেকিয়ে দেন নিস গোলরক্ষক মার্চিন বুকা।
নিসের পরের শট ঠেকিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুমা। পরের তিনটি করে শটে দুই দলই গোল পায়। কিন্তু শেষতক মিস করে বসেন পিএসজির জাভি সিমোন্স। তাতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় মেসিদের।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]