ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ ছাড়াও রিয়াল মাদ্রিদে খেলার সুবাদে মেসির বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে কাসেমিরোর। অধিকাংশ সময়ই মেসিকে আটকানোর গুরুদায়িত্বটাও পড়ে এই ডিফেন্সিভ-মিডফিল্ডারের ওপর। ফলে খুব ভালো করেই তার জানা আছে, বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডকে সামলানোর কাজ কতটা কঠিন। কিন্তু ফাইনালের আগে শুধুমাত্র মেসিকে নিয়ে ব্যস্ত না থেকে তার নজর আর্জেন্টিনা দলের বাকি সদস্যদের দিকেও।
“আমি শুধুমাত্র মেসিকে নিয়ে ভাবছি না, কারণ বিপক্ষ দলে মেসি ছাড়া অন্যরা আছে। একে-অপরের প্রতি আমাদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে এবং তার প্রতি আমার সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে, কিন্তু আর্জেন্টিনা মানেই মেসি নয় এবং ব্রাজিলের শক্তিশালী রক্ষণও কাসেমিরো নির্ভর নয়। (ব্রাজিল দলে) সবাই রক্ষণে সাহায্য করে এবং সবাই আক্রমণে যায়, সুতরাং এটা একটি অসাধারণ ম্যাচ হতে যাচ্ছে।”
“তাদের দলে উঁচু মানের খেলোয়াড় রয়েছে, শুধু একজন মেসিই নয়। তার মান সম্পর্কে আমরা অবগত, এটা আমি বেশ কয়েকবার বলেছি, তাই আমাদের পুরো আর্জেন্টিনা দলকে মূল্যায়ন করতে হবে এবং তাদের সবাইকে নিয়ে ভাবতে হবে।”
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জমাট রক্ষণের প্রমাণ রেখেছে ব্রাজিল। এর বাইরেও সবশেষ ১৩ ম্যাচে মাত্র চারটি গোল হজম করেছে দলটি। আর চলতি আসরে ছয় ম্যাচের পাঁচটিই জিতেছে তারা, এই ম্যাচগুলোই দলটি করেছে ১২টি, হজম করেছে মাত্র দুটি। শিরোপার লড়াইয়েও এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে প্রত্যয়ী ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
“আমরা সেরাটা দেওয়ার জন্য কাজ করছি। কিন্তু আমরা জানি, প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান রেখে আমাদের সর্বোচ্চটা দিতে হবে, কারণ ছোট ছোট ব্যাপারগুলিই গড়ে দেবে বড় পার্থক্য। তাই প্রতিপক্ষের শক্তির কথা না ভেবে নিজেদের সেরাটা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
“তিতে আমাদের সবসময় দলে ভারসাম্য রাখতে বলেন, আর সেটা হলো জমাট রক্ষণ ও শক্তিশালী আক্রমণের সমন্বয়। স্বাভাবিকভাবেই ব্রাজিলিয়ান দলের আক্রমণভাগে মানসম্পন্ন খেলোয়াড় থাকে। তবে (আমাদের) এখনকার রক্ষণের শক্তি আক্রমণভাগের চেয়েও বেশি, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হবে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]