প্রিন্স আরিফ খান, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি: গাংনীর সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যে সৃষ্ট ভুলবোঝাবুঝি ও অভিযোগের অবশেষে অবসান হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উভয়দের মধ্যেকার ভুলবোঝাবুঝির অবসান হওয়া বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেললনে ইউপি সদস্য আনারুল ই্সলাম আকালি সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও আমরা যারা ১২জন ইউপি সদস্য রয়েছি তাদের সাথে একটু মতানৈক্য তৈরী হয়। আমরা কতিপয় সদস্যরা এবিষয়ে চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। চেয়ারম্যান ও আমাদের সাথে একটু দুরুত্ব তৈরী হয়। এতে ইউনিয়নবাসীরা তাদের সেবা থেকে অনেকটা বঞ্চিত হচ্ছিল।
এমন বিষয় চিন্তা করে আমাদের মধ্যেকার দুরুত্বের অবসান করে নিলাম। ইউনিয়নের উন্নয়ন ও ইউনিয়নবাসীর সেবার স্বার্থে আমরা আবার এক সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে চলতে চাই। সকলে একত্রিত হয়ে ইউনিয়নের মানুষের কাংখিত সেবা দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের মধ্যেকার জমে থাকা ক্ষোভ ও দুরুত্ব আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে নিষ্পত্তি হয়ে গেল। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্ব্হী অফিসার বরাবর যে অভিযোগ জমা দেয়া ছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছি বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন জানান, এক সাথে চলতে গেলে একাধপু দোষত্রুটি থাকতেই পারে। এবিষয়ে আমাদের মধ্যেকার ভুলবোঝাবুঝির আনুষ্ঠানিক অবসানের জন্য আমরা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের মধ্যেকার তৈরী হওয়া দুরুত্বের অবসান হলো। আগামী দিন থেকে আমরা ইউনিয়নের উন্নয়নের একত্রে কাজ করার পথ সুদৃড় হবে।
সংরক্ষিত নারী সদস্য আসমা আক্তার জানান, একটি ইউনিয়ন মানে আমাদের একত্রে থাকার একটি পরিবার। সেখানে তেম কিছুই ঘটেনি। সামান্য ভুলবোঝাবুঝির কারনে বিষয়ে এতোদুর গড়িয়েছে। আমাদের মধ্যে পৃথক করে দিয়ে তৃতীয় একটি পক্ষ ফায়দা লুটার চেষ্টা করছিল। এমন বিষয় আমরা বুঝতে পেরে নিজেদের সমস্য নিজেরাই মিমাংসা করে একত্রে মিলে ইউনিয়নের উন্নয়ন করতে চাই। এক সাথে চার বছরের পথ চলা আজকের এই অবসানের মধ্য দিয়ে সুগম একটি প্লাটফর্ম তৈরী হলো।
আব্বাস আলী জানান, আমরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। এবিষয়ে আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করছিল একটি পক্ষ। আমরা আমাদের বিষয়টি বুঝতে পেরে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা ভিত্তিহীন ও মনগড়া। সামাজিক ভাবে আমাকে হেয় করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে আমাদের সদস্যদের মধ্যে দুরুত্ব তৈরী করে দিয়েছিল। এটি সদস্যরা বুঝতে পেরে তারা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগে যে স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছিল তা ভুয়া। অন্যকাজের জন্য করা স্বাক্ষরিত কাগজ আমার বিরুদ্ধে কাজে 1লাগানোর চেষ্টা করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং একসাথে ইউনিয়নের উন্নয়নে কাজ করা প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন তিনি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু জানান, সাহারবাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন ইউপি সদস্যরা। তারা সরাসরি অফিসে এসে প্রত্যাহার পত্র দিয়ে গেছেন। এতে তাদের ভুলবোঝুছি ছিল বলেও প্রত্যাহার পত্রে উল্লেখ করেছেন তারা।