1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১২ পূর্বাহ্ন

মেহেরপুরে আশংকাজনক হারে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া

প্রিন্স আরিফ খান, মেহেরপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট : রবিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

প্রিন্স আরিফ খান, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি:বৈরী আবহাওয়ার কারণে মেহেরপুরে আশংকাজনকহারে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। ডায়রিয়া রোগিদের জন্য খাবার স্যালাইন সংকট না থাকলেও রয়েছে কলেরা স্যালাইন সংকট। গত এক মাস ধরে ওষুধ সংকট থাকলেও চাহিদা অনুযায়িহা সপাতালে ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি। ফলে বাইরে থেকে রোগিদেরকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। প্রচÐ শীত ও কুয়াশার কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগিরসংখ্যা বেড়েছে বলে হাসপাতাল সুত্র জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ি, মেহেরপুর জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৮৮ জন শিশু বৃদ্ধ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে আউটডোর
থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন আরো ২০০ জন। এর মধ্যে মেহেরপুর সদরে ৫৩জন,গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ জন ও মুজিবনগরে ৬জন ভর্তি
রয়েছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু। ভর্তিকৃত শিশুদের অধিকাংশরই বয়স পাঁচ বছরের নিচে। গত কয়েকদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের ওয়ার্ডে পা ফেলার জায়গা নেই। রোগিদের ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। এদেরকে চিকিৎসা দিতে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। শিশু রোগিদের আর্তচিৎকারে হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। রোগির স্বজনরা জানালেন, হাসপাতাল থেকে খাবার স্যালাইন দেয়া হলেও বাইরে থেকে কলেরা স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। গত দুই মাস যাবত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে কলেরা স্যালাইনের সংকট রয়েছে। বারবার চাহিদা
দিলেও আজো কোন স্যালাইন সরবরাহ করা হয়নি বলে জানান স্টোর কীপার
দবির উদ্দীন। তিনি আরো জানান, ২০০টি কলেরা স্যালাইন মজুদ ছিল জরুরী
সেবার জন্য। সেগুলো ওয়ার্ডে দেয়ার পর আর কোন স্যালাইন অবশিষ্ট নেই। অল্প
কিছু আছে তা অঞ্চল ভিক্তিক মহামারী মোকাবেলার জন্য।
গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি শিশু আড়পাড়া গ্রামের জান্নাতুল মাওয়ার
বাবা সাবাদুল জানান, গত শনিবার ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হবার পর
থেকে খাবার স্যালাইন দেয়া হয়। কিন্তু বাইরে থেকে কলেরা স্যালাইন কিনতে
হচ্ছে। এখানে ডাক্তাররা রোগিদের প্রতি যন্তবান না। তবে নার্সদের কাছ
থেকে কাঙ্খীত সেবাটি পাওয়া যাচ্ছে না। একই কথা জানালেন ইসলামপুরের
শামীমার বাবা শাহিন আলম। চৌগাছা গ্রামের দুই বছর বয়সি মাসুমা
ভর্তি রয়েছেন দুদিন। তার বাবা আমানুর জানান, ভর্তির পর খাবার স্যালাইন
হাতে ধরিয়ে দিয়ে হাসপাতালের লোকজনের দায়িত্ব শেষ। রোগির অবস্থা
খারাপ হলে বাইরে থেকে কলেরা স্যালাইন কিনতে হাতে ¯স্লীপ ধরিয়ে দেয়া
হচ্ছে। নার্সরা রোগির খোঁজ খবর নিলেও ডাক্তারদের দেখা মিলছে না। তবে
কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
কর্তব্যরত সেবীকারা জানান, রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম
খাচ্ছেন তারা। খাবার স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। কলেরা স্যালাইন সরবরাহ না
থাকায় রোগীদের স্বজনকে বাইরে রথেকে কিনতে বলা হচ্ছে। বয়ষ্করা খাবার
স্যালাইন খেতে পারছে তাই তাদের বাইরে থেকে কলেরা স্যালাইন কেনা
লাগছে না। কিন্তু শিশুরা খাবার স্যালাইন খেতে অনীহা করে । বাধ্য হয়েই
কলেরা স্যালাইন কিনতে বলা হচ্ছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী জানান,
রোগীদের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে ডাইরিয়া আক্রান্ত শিশুদের সেবা দিতে
হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা। স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে
তিনি জানান, কয়েকমাস যাবত কলেরা স্যালাইন সংকট রয়েছে। চাহিদা
দেয়ার পরও কোন জবাব মেলেনি। তবে ডাক্তারদের অবহেলার বিষয়টি তিনি
অস্বীকার করে জানান, চিকিৎসক সংকটের কারণে অনেক সময় সেবা দেয়ায় বিঘœ ঘটে।মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তৌফিকুররহমান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। সেবা দানে কোন
সমস্যা হচ্ছে না।মেহেরপুর সিভিল সার্জন জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী জানান, অতিরিক্ত
ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত খাবার ও কলেরা স্যালাইন রয়েছে। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন কলেরা স্যালাইন নেই তা দেখা হচ্ছে। রোগীদের স্বাস্থ্য সেবায় ডাক্তারদের কোন অবহেলা নেই।তবে কোথাও কোথাও ডাক্তার সংকটের কারণে সেবা দেয়াটা একটু কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে বলেও জানান তিনি।

Facebook Comments
০ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি