প্রিন্স আরিফ খান, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি:জমি জবর দখল ঠেকাতে গিয়ে সিরাজ হালসনা ও তার লোকজনের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সাদ্দাম আলী (১৭) ও তার মা আম্বিয়া খাতুন (৪৫)। রোববার সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় আহত মা ছেলেকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সাদ্দাম আলী বেতবাড়ীয়া গ্রামের দুলাল হালসনার ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, রোববার সকালে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মান করছিলেন সাদ্দাম আলী। নির্মান কাজের এক পর্যায়ে তার আপন চাচা সিরাজ হালসনা ও তার স্ত্রী জানেরা খাতুন (৪৫) লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। এসময় নির্মানাধীন প্রাচীর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় তারা। প্রাচীর ভাঙ্গা ঠেকাতে গেলে সাদ্দাম আলী ও তার মা আম্বিয়া খাতুনের উপর হামলা চালায়। এসময় ধারালো অস্ত্র ও ইট দিয়ে তাদের উপর হামলে পড়ে সিরাজ ও তার স্ত্রী জানেরা খাতুন এবং তাদের লোকজন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাদ্দাম আলীর বাম হাতে কোপ দেয়। এতে রক্তাত্ব জখম হয় সাদ্দাম। অন্যদিকে সাদ্দামের মা আম্বিয়া খাতুনকে রড, লাঠি ও ইট দিয়ে বেধড়ক মারপিঠ করে তারা। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। গুরুতর আহত হওয়ায় তাদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে স্থানীয় লোকজন।
গাংনী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, সাদ্দামের হাতের জখম গুরুতর। আম্বিয়া খাতুনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জমির বিরোধ সম্পর্কে ভুক্তভোগীর জানান, বেতবাড়ীয়া গ্রামের রমজান হালসনা জীবিত থাকা অবস্থায় চার ছেলেকে বাড়ির পজিশন ঠিক করে দেয়। তারা যার যার অবস্থান মতো বাড়িঘর নির্মান করে অনেক আগে। চার ছেলের মধ্যে এক ছেলে হচ্ছে দুলাল হালসনা। জমিতে যার পজিশন সামনের দিকে। ৫ বছর আগে দুলাল হালসনা মারা গেলে তার ভাই সিরাজ হালসনার দৃষ্টি পড়ে জমির দিকে। দুলাল হালসনার ছেলে সাদ্দাম আলী ও স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনের উপর জুলুম শুরু হয়। এ নিয়ে পরিবার ও গ্রামের মানুষের পক্ষ থেকে কয়েক দখা মিমাংসা করা হয়। কিন্তু অন্য তিন ভাই মানলেই সিরাজ হালসনা মাঝে মাঝে সাদ্দামের পরিবারের উপর হুমকি অব্যহত রাখে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সিরাজ হালসনা অন্য তিন ভাইয়ের চেয়ে উগ্র ধরনের। চার ভাইয়ের চলাচলের জন্য বাড়ির মাঝ দিয়ে ৮ ফুট রাস্তা রয়েছে। পজিশন ও রাস্তায় চলাচল নিয়ে তিন ভাইয়ের কোন সমস্যা বা প্রশ্ন নেই। অনেক আগে থেকেই চার জন পজিশন ঠিক করে নিলেও এখন সিরাজ তা মানতে নারাজ। সাদ্দামের পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় সিরাজ কখনও জমি নিয়ে কথা বলেননি। এখন তার স্ত্রী ও ছেলেকে অসহায় পেয়ে গায়ের জোরে জমি জবর দখল করতে চাচ্ছে। তাই প্রতিকার চেয়ে অসহায় সাদ্দাম ও তার মা সংশ্লিষ্ঠদের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজ হালসনার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।