মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ প্রিন্স আরিফ খান:হেরোইন সেবনের দায়ে মো: খোকা শেখ নামের এক যুবকের ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ২শ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রাব্বানী এ আদালত পরিচালনা করেন। দণ্ডিত খোকা শেখ শহরের স্টেডিয়াম পাড়া আব্দুল মালেকের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, খোকা শেখ মাদক (হেরোইন) সেবন করার কথা স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ এর ৫ ধারায় তাকে ১৫ দিনের কারাদন্ড ও ২শ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাশেমের নেতৃত্বে এসআই মামুন সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শহরের কোটপাড়া এলাকা থেকে মাদক সেবনের করার সময় তাকে আটক করে।
সালাম ক্লিনিকের অপারেশন টেবিলে প্রসূতির মৃত্যু মেহেরপুর সরকারি কলেজের সামনে দারুস সালাম ক্লিনিকে অপারেশন টেবিলে সুমাইয়া নামের এক প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমাইয়া ঢোলমারী গ্রামের মিলন হোসেনের স্ত্রী। তার ৫ বছরের আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দুটি শিশুকে অনাথ অবস্থায় রেখে গেলো সুমাইয়া। নিহত সুমাইয়ার স্বজনরা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় মুজিবনগর উপজেলার ঢোলমারি গ্রামের মিলন হোসেন স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনকে দারুস সালাম ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। রাত ১০টার দিকে ক্লিনিকের মালিক ডা. আব্দুস সালাম নিজেই অপারেশন শুরু করেন। তাকে এনেসথেসিয়া হিসেবে সহযোগীতা করেন ডা. শাহেদ আলী। অপারেশন টেবিলেই সুমাইয়ার মৃত্যু হয়েছে এবং তার সদ্য প্রসূত কণ্যা সন্তান জীবিত আছে এবং সুস্থ আছে বলে জানান ডা. সালাম। এ ব্যাপারে ডা. আব্দুস সালাম জানান, রাত ১০টার দিকে রোগীকে নিয়ে অপারেশন টেবিলে নেওয়ার সময় সে ভয় পায়। তাকে মানসিক ভাবে ভয় ভাঙানোর পর অপারেশন শুরু করা হয়। একসময় তার পেশার, হৃদ স্পন্দন সব নিল হয়ে যায় এবং সাড়ে ১০টা নাগাদ আর তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে স্বীকার করেন। তবে এনেসথেসিস্ট ডা. শাহেদ আলীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। এদিকে, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিভাগে অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা, জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া তদন্ত করা হবে কিভাবে প্রসূতির মৃত্যু হলো।