নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরকে সচল করেছেন। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার নৌ চ্যানেল ড্রেজিং করে ৯ মিটার গভীরতা জাহাজ এ বন্দরে প্রবেশ করাতে আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ তৈরির পথযাত্রা শুরু হলো’।
অধিক গভীরতার বিদেশি জাহাজ প্রবেশ করাতে মোংলা বন্দরে শনিবার (১৩ মার্চ) ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, মোংলা বন্দরে ইতোমধ্যে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। মোংলা বন্দরের সাথে রেললাইন যুক্ত হচ্ছে, বন্দর চ্যানেলে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সবকিছু মিলে এখানে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ চলছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও মজবুত হবে।
এ সময় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, উপমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ বেগম হাবিবুননাহার, নৌ পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, সদস্য (হারবার ও মেরিন) ইমতিয়াজ হোসেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চ্যানেল খননের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না সিভিল কর্পোরেশনের বাংলাদেশ প্রধান কি চ্যাং গিলাইং এবং মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল, মোঃ সুলতান হোসেন খাঁন ও কামরুজ্জামান জসিম।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, আর্ন্তজাতিক টেনন্ডারের মাধ্যমে ৭৯৩ কোটি ৭২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না সিভিল কর্পোরেশনকে এ কাজটি দেওয়া হয়েছে। তারা আগামী ২০২২ সালের জুন মাসে কাজটি সম্পন্ন করবে।
এই ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দর চ্যানেলের নাব্য সংকট দূর হবে এবং পণ্যবাহী বিদেশি জাহাজ আগমন বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিকভাবে গতিশীলতা বাড়বে বলে জানান চেয়ারম্যান।
সমুদ্র বন্দর মোংলার সম্ভাবনা অসীম হলেও নাব্য সমস্যায় এখানে ভিড়তে পারতোনা অধিক গভীরতার বিদেশি জাহাজ। পুরোদস্তর ব্যবসাবান্ধব সমুদ্রবন্দর হতে হলে এখানে অনায়াসেই প্রবেশ করতে হবে সাড়ে ৯ থেকে ১০ মিটারের গভীরতার জাহাজ। কিন্তু সেখানে সাত মিটারের গভীরতার জাহাজ ছাড়া প্রবেশ করতে না পারায় সংকট দেখা দেয়। আর সেই সংকট মোকাবেলায় নদী খননের উদ্যোগ নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এই নদী খননের মাধ্যমে এই নব্য সংকট দূর হলে এই বন্দর ব্যবহার দ্বিগুন বাড়বে মনে করেন বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল ও মো. সুলতান হোসেন খাঁন। তারা বলেন,অর্থনৈতিকভাবে পুরোদমে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পাবে এই বন্দর।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) শেখ মো. শওকত আলী বলেন, বন্দরের পশুর চ্যানেল খনন করতে ব্যবহার তিনটি কাটার সাকশান ও দুটি হোপার ড্রেজার ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি সম্পন্ন হলে মোংলা বন্দর আর্ন্তজাতিকভাবে পণ্য হ্যান্ডলিং দ্বিগুন বাড়বে বলেও জানান তিনি।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]