ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি নীতির প্রতিবাদে দিল্লি-জয়পুর মহাসড়ক অবরোধ করে ট্রাক্টর র্যালি বের করছে হাজার হাজার কৃষক। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন নীতি নিয়ে নতুন বার্তা দিলেও তা মানতে নারাজ কৃষকরা। ওই বার্তার পর রবিবার নতুন করে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন কৃষকরা। এ ছাড়া সব জেলা প্রশাসনের সামনেও সোমবার বিক্ষোভ এবং অনশন করবেন তারা।
ভারত সরকারের নতুন চালু করা তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লি ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে দেশটির লাখ লাখ কৃষক। আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে সমঝোতা করতে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সরাসরি আলোচনায় বসেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে এর পরও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি।
শনিবার ভারতীয় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৯৩তম বার্ষিক কনভেনশনে নরেন্দ্র মোদি বলেন নতুন প্রবর্তিত কৃষি আইনের ফলে কৃষকদের আয় বাড়বে। ওই আইনের কারণে কৃষি এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতের মধ্যকার বাধা দূর হবে, কৃষকদের জন্য নতুন বাজার তৈরি হবে আর তারা নতুন প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ থেকে লাভবান হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা উপেক্ষা করেই রবিবার দিল্লি-জয়পুর সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন কৃষকরা।
ওই ঘোষণার পর দিল্লি-গুরুগাও সীমান্তে এক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ফরিদাবাদে মোতায়েন করা হয়েছে আরও সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য। এমনকি দিল্লি থেকে আগ্রা অভিমুখে যেতে চাওয়া কৃষকদের থামাতে আরও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার সম্প্রতি কৃষি আইনে বদল করে করপোরেট চাষ ও কৃষকদের কাছ থেকে যত খুশি ফসল কেনার অনমুতি দিয়েছে।করপোরেশনগুলো কৃষকদের আগাম টাকা দিয়ে কী চাষ করতে হবে সেটাও বলে দিতে পারবে। কৃষকদের ধারণা, এর ফলে তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে। তারা শেষ পর্যন্ত করপোরেশনের দাসে পরিণত হবেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]