1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

মোদি ও মমতার সাথে সম্পর্ক নিয়ে সিপিএমের নতুন নীতি

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১

নরেন্দ্র মোদিকে সরাতে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে কেন্দ্রীয় স্তরে হাত মেলাতে কোনো অসুবিধা নেই সিপিএমের। মোদির বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্যের স্বার্থে এই নীতি নেয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন সিপিএম নেতারা। তবে পশ্চিমবঙ্গে মমতার কট্টর বিরোধিতার রাস্তা থেকে তারা সরে আসছেন না। এর ফলে কেন্দ্রীয় স্তরে মোদি-বিরোধী জোট গঠনের সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল হলো।

পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল, বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিরোধী জোটে মমতা থাকবেন। তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। বিরোধী জোটে সকলেই আসতে পারেন। কিন্তু এই ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে হবে না।’

সূর্যকান্ত বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সিপিএমের মূল শত্রু হলো বিজেপি। কিন্তু রাজ্যের ক্ষেত্রে বামেদের কাছে বিজেপি ও তৃণমূল দুজনেই শত্রু। দুই দলের বিরুদ্ধেই সিপিএম লড়বে।’

কেন তারা রাজ্যে তৃণমূলের বিরোধিতা করছেন এবং করবেন, তার যুক্তিও দিয়েছেন সূর্যকান্ত। তার দাবি, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার স্বৈরাচারী। তারা বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। ফলে তারা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সাথে হাত মেলাবেন না।

উপ-রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে বেঙ্কাইয়া নাইডু যখন বিজেপি সভাপতি বা কেন্দ্রে মন্ত্রী ছিলেন, তখন একটা কথা প্রায়ই বলতেন, দিল্লিতে দোস্তি এবং রাজ্যে কুস্তি এই নীতি নিয়ে চলা যায় না। কিন্তু ভারতে রাজনৈতিক জোটের ক্ষেত্রে তা হামেশাই হয়েছে এবং হচ্ছে। কংগ্রেস ও সিপিএম পশ্চিমবঙ্গে হাত মেলালেও কেরালায় একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়ছে। কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়লেও জাতীয় রাজনীতিতে মমতাকে সাথে নিয়ে চলে। সিপিএমও এখন সেই নীতি নিল।

পশ্চিমবঙ্গের ভোটের সময় সিপিএমের কাছে তৃণমূল ছিল প্রধান শত্রু। ভোটের পর সিপিএম নেতারা বলতে শুরু করেন, তাদের এই মূল্যায়ন ঠিক হয়নি। রাজ্যের মানুষ বিজেপির বিরোধিতা করে ভোট দিয়েছে। সিপিএম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘সিপিএমের এখন খুবই দিশেহারা অবস্থা। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিটা প্রায় দ্বিদলীয় রাজনীতিতে এসে ঠেকেছে। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে লড়াই হচ্ছে। আর কেন্দ্রে লড়াই বিজেপির সাথে বিরোধী জোটের। তাই বাধ্য হয়েই এরকম অবস্থান নিয়েছে সিপিএম।’

আরেক প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য মনে করেন, ‘এই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই সিপিএমের নেয়া উচিত ছিল।’ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি যে প্রধান শত্রু এটা অনেক আগেই সিপিএমের বলা উচিত ছিল। কেন্দ্রীয় স্তরে মোদিবিরোধিতা ছাড়া আর অন্য পথ নেয়ার কোনো উপায় সিপিএমের নেই। সেখানে মমতাকে গ্রহণ করা ছাড়া তাদের উপায়ও নেই।’

প্রশ্ন হলো, এরপর লোকসভার সময় কি বামেরা তৃণমূলের সাথে আসন সমঝোতা করবে, না কি তারা সব আসনে প্রার্থী দেবে? বামেদের মূল শক্তি বলতে তো কেরালা। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় তারা টিমটিম করে জ্বলছে। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা আসনে তাহলে নীতিটা কী হবে? বিজেপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিরোধী প্রার্থী দেয়া হবে, এই নীতি নিয়েই তো বিরোধীদের এককাট্টা করার চেষ্টা করছেন যশোবন্ত সিনহা, শরদ পাওয়ার, প্রশান্ত কিশোররা। জয়ন্তও বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসন নিয়ে বামেরা কী করবেন, সেটাই দেখার।

তবে মোদির বিরোধিতায় তারা ছুৎমার্গ ছেড়ে দিয়ে মমতার সাথে জোটে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা সিপিএমের কাছে বড় নীতিবদল। সূত্র : ডয়চে ভেলে

Facebook Comments
১ view

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি