আউট সাইড অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা জ্যাক লিচের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন নিরোশান ডিকওয়েলা। জেমস অ্যান্ডারসন ছাড়িয়ে গেলেন গ্লেন ম্যাকগ্রাকে। সাবেক এই অজি পেসারকে ছাড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট শিকারি পেসারদের মাঝে দুইয়ে জায়গা করে নিলেন অ্যান্ডারসন। এবার অপেক্ষা সবচেয়ে বেশি ৫ উইকেট নেয়া সাবেক পেসার রিচার্ড হ্যাডলিকে ছাড়ানোর।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ম্যাকগ্রার রেকর্ড ৫৬৩ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার বনে গিয়েছেন অ্যান্ডারসন। এরপর থেকে নিজের রেকর্ডের পাতা সমৃদ্ধ করছেন চলেছেন এই ইংলিশ পেসার। বয়সটা তাঁর কাছে যেন কেবলই সংখ্যা। এই বয়সে এসেও বোলিংয়ের ধার একটুও কমেনি তাঁর।
করোনাকালীন ক্রিকেট ফিরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাউদাম্পটন টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাকগ্রাকে ছুঁয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। ম্যাকগ্রাকে ছুঁয়ে ফেলার পর প্রথম পেসার হিসেবে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন তিনি। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ৫ উইকেটে নিয়ে ছাঁড়িয়ে গেছেন ম্যাকগ্রাকে।
সবচেয়ে বেশি ৩৬ বার ৫ উইকেট নিয়ে এখন অ্যান্ডারসনের উপরে রয়েছেন কেবল হ্যাডলি। ২৭ বার ৫ উইকেট নিয়ে তালিকার তিনে রয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম। চারে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন (২৬ বার) এবং পাঁচে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার ওয়াসিম আকরাম (২৫ বার)।
যদিও ৫ উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি স্পিনারদের দাপট। এই তালিকায় সেরা পাঁচের চারজনই স্পিনার। ৬৭ বার ৫ উইকেট নিয়ে সবার উপরে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়ার মুরালিধরন। দুুইয়ে অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন (৩৭), চারে ভারতের অনিল কুম্বলে (৩৫ বার) এবং পাঁচে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথ।
১৮৭৭ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো স্বীকৃত টেস্ট খেলতে নামে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ম্যাচেই তিনটি ৫ উইকেট দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। যার শুরুটা করে হয়েছিল বিলি মিডউইন্টার। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন এই অজি বোলার।
সেই ম্যাচে আরও দুজন বোলার ৫ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছিলেন। তাঁদের একজন ইংল্যান্ডের আলফ্রেড শ এবং অন্যজন অস্ট্রেলিয়ার টম ক্যান্ডাল। মাত্র ১৬ বছর ৩০৩ দিনে সবচেয়ে তরুণ বোলার হিসেবে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার নাসিম উল গনি।