আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল পিএসজি। এবার প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ ম্যানসিটির সামনে। ইত্তেহাদ স্টেডিয়ামে প্রথমে গোল হজম করেও শেষ পর্যন্ত মেসি-নেইমার-এমবাপেদের জিততে দেয়নি সিটির স্ট্রাইকাররা। ২-১ গোলের ব্যবধানে পিএসজিকে হারিয়েই মাঠ ছেড়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
মেসি-নেইমারদের হারিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরের রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। অন্যদিকে হারলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পিএসজির সমস্যা হয়নি। গ্রুপ রানারআপ হয়েই তারা উঠেছে পরের পর্বে।
মূলতঃ আরবি লেইপজিগের কাছে ৫-০ গোলে ক্লাব ব্রুগের বিশাল পরাজয়ই পিএসজিকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে সাহায্য করেছে। এই ক্লাব ব্রুগের সঙ্গেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছিলেন মেসি-নেইমাররা।
মেসি-নেইমারদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে আরেক ব্রাজিলিয়ান তারকা গ্যাব্রিয়েল হেসুসের কাছে। ম্যাচের শেষ গোলটি এসেছে তার পা থেকেই। যেটাকে আর শোধ করতে পারেনি ফরাসি ক্লাবটি।
ম্যানসিটিকে মাঠে নামতে হয়েছিল তাদের সেরা মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনকে ছাড়াই। কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার কারণে তিনি ছিলেন দলের বাইরে। তবুও ঘরের মাঠে তারা ছিল অপ্রতিরোধ্য। ম্যাচের শুরুতেই পিএসজিকে নিশ্চিত গোল থেকে বাঁচান ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্বাপ্পে। রদ্রির হেড যখন জালে জড়িয়ে যাচ্ছিল, তখন লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি বলটি ক্লিয়ার করেন।
খেলার আধাঘণ্টা যেতে না যেতে আবারও গোলের সুযোগ। এবার সুযোগটা পেয়েছিলেন ইলকায় গুন্ডোগান। কিন্তু তার শটটি বারে লেগে ফিরে আসে।
ম্যানসিটি যখন একের পর এক গোলের জন্য আক্রমণ করে যাচ্ছিল, তখন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে বসে পিএসজি। গোলদাতা কিলিয়ান এমবাপে। ৫০ মিনিটের ঘটনা। বক্সের সামনে দুর্দান্ত একটি ব্যাক পাস দেন মেসি। একেবারে আনমার্ক অবস্থায় ছিলেন এমবাপে। বল পেয়েই গোলরক্ষক এডারসনকে ফাঁকি দিয়ে ম্যানসিটির জালে জড়াতে মোটেও ভুল করলেন না তিনি।
তবে ম্যাচে ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি পেপ গার্দিওলার দল। ৬৩ মিনিটেই গোল করে সিটিকে সমতায় ফেরান রাহিম স্টার্লিং। গ্যাব্রিয়েল হেসুসের পাস থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের শটে পিএসজির জালে বল জড়িয়ে দেন স্টার্লিং।
৭৬ মিনিটে গোল করে সিটির জয় নিশ্চিত করেন হেসুস নিজেই। বার্নার্ডো সিলভার পাস থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে পিএসজির জালে বল জড়ান তিনি। তার খানিক আগেই গোল করার দারুণ এক সুযোগ ছিল নেইমারের। ১৮ গজ দুর থেকে তার নেয়া জোরালো শট চলে যায় গোল পোস্টের বাইরে।
ম্যাচ শেষে ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা প্রথমে পিছিয়ে পড়ে জয় পাওয়া নিয়ে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুব দারুণ একটি শিক্ষা যে, গোল খেলেই কেউ হেরে যায় না। লড়াই চালিয়ে যেতে হয়। ম্যাচের অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল ড্র’ই ভালো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা জিতেছি।
পিএসজি কোচ মউরিসিও পচেত্তিনো ম্যানইউর কোচ হতে চান। তবে, আপাতত ম্যাচ যেটা সামনে আছে ওটা নিয়েই ভাবতে চান তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, পিএসজির এই ম্যাচই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। দল দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারায় তিনি খুশি।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]