বিধান মন্ডল (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে ধীরে ধীরে প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে পাড়া মহল্লায় শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। তার মধ্যে উঠে এসেছে কারা কারা এবার ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে নির্বাচনী মাঠে আসছে।
আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সালথা উপজেলা যদুনন্দী ইউনিয়নে যাদের নাম উঠে আসছে তারা মাঠে প্রার্থী হিসাবে ইতিমধ্যে জানানও দিচ্ছে, তাদের মধ্যে অন্যতম উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রবীন ও ত্যাগী নেতা নুরুজ্জামান (টুকু) ঠাকুর। সে যদুনন্দী ইউনিয়নের বড়খারদিয়া গ্রামের মৃত্যু গোলাম রসুল ঠাকুরের জৈষ্ঠ পুত্র। তিনি ইতিমধ্যে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়াকে উপেক্ষা না করে জানান দিয়েছেন তাদের প্রতিনিধি হয়ে নিজেকে তাদের সেবায় নিয়োজিত রাখবেন।
একান্ত সাক্ষাতকারে আওয়ামীলীগের এই প্রবীন নেতা নুরুজ্জামান (টুকু)ঠাকুর জানিয়েছেন, জনগনের সেবা করতে বা সুখে দু:খে পাশে থাকতে আমার অভ্যাস পুরানো। ছোট বেলা থেকে ইউনিয়ন বাসীর সুখে দুঃখে পাশে থেকেছি। কোথাও কারো প্রতি অন্যায় হলে ছুটে গিয়ে তার পাশে দাড়িয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে তার ন্যয্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করি নাই। তাই আজ ইউনিয়নবাসীর দাবির মুখে নিজেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষনা করতে হচ্ছে। ছোট বেলা থেকে যে ভাবে এলাকাবাসীর সুখ দু:খে ছিলাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ঠিক সেই ভাবেই আপামোর জনসাধারনের পাশে থাকতে চাই।
প্রায় ৭০ বছর বয়সী ত্যাগী এই প্রবীন নেতা বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (এমপি)র হাত ধরে ১৯৯৬ সালে অবিভক্ত নগরকান্দা- সালথার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান তিনি সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন।
১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ডাকের প্রতি আস্থা রেখে পিতা গোলাম রসুলের অনুপ্রেরনায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রীয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন তিনি। ভারতে ট্রেনিং গ্রহন করে খুলনা আলীম জুট মিলে ক্যাম্প স্থাপন করে আটরা, শিরোমনি, নতুন রাস্তা, ফুলতলা রনাঙ্গাণে সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। ১৯৮৯ সালে সৈরাচার এরশাদ বিরোধী অন্দোলনে নগরকান্দা থানায় আটক হয়েছেন তিনি। তখন তিনি মিথ্যা মামলায় ৩ মাস কারাবরন করেন। ২০০১ ও ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের আমলে মিথ্যা মামলায় আবারও ৫ মাস কারাভোগ করতে হয় তাকে।
২০০১ সালে ভাত ও ভোটের অধিকার আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ পথে থেকে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন। তিনি সামাজিক অবকাঠোমো উন্নয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রষ্ঠিানের শিক্ষার মান উন্নয়নে দায়িত্ব পালন করেছেন। তৎকালিন সময়ে ১৯৬৮ সালে বড় খারদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন দায়িত্ব ও পালন করেছেন দীর্ঘদিন। ১৯৯০ ও ১৯৯৯ সালে দুইবার তিনি বড় খারদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে সালথা সরকারী কলেজের ম্যানেজিং কমিটিতে দায়িত্ব পালন করে শিক্ষার মান উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন। ২০১১ সালে ২নং যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করতে পারেননি।
বয়োজেষ্ঠ এই প্রবীন ও ত্যাগী নেতা আশা করছেন দলীয় ভাবে মনোনয়ন পাবেন বলে। তিনি জানান আওয়ামীলীগ শান্তিপ্রিয় স্বাধীনতা স্বপক্ষের একটি রাজনৈতিক দল। আমি এই দলের একজন কর্মী হতে পেরে নিজে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে দলের একজন কর্মী হয়ে কাজ করে আসছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দলের নিবেদিত কর্মী হয়ে থাকতে চাই। সাধারন মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।