রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || বুধবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
যশোরের চৌগাছা রোডে অভিনব গাছ নিধন
সুমন হোসেন, যশোর জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
যশোরের চৌগাছা থানাধীন ছুটিপুর - চৌগাছা রোডে কুচক্রী লোকের অভিনব কায়দায় গাছ নিধন করতে দেখা যাচ্ছ। যে গাছ মানুষের অক্সিজেন সাপ্লাই দিয়ে থাকে সেই গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে।যেখানে মানুষের মুখে কথিত যে, আমাদের যে গাছে প্রান বাঁচিয়ে রাখছে সেই গাছ কিভাবে নিধন করতে পারি? কিন্তু বাস্তবে দেখা মিলেছে তার উল্টা রুপ। চৌগাছা রোডের দুই ধার ধরে পুরানো শিশু গাছ মানুষ মাটি থেকে ৩/৪ ফুট উপর থেকে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে প্রথমে গাছের ছাল কেটে দিচ্ছে। সেটা প্রশাসনের চোখে ধুলো দিতে কাপড় দিয়ে বেধে রাখতে দেখা গেছে। সেটার কারনে কিছু দিন/মাস বাদে গাছগুলো রস শুন্য হয়ে মারা যাচ্ছে।না, গাছগুলো মারা যাবার পরেও প্রশাসন চোখে দেখেও সেইসব কুচক্রী গাছ নিধনকারী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনের আওতায় আনা হয় নি।উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিষয়টা জানানো হলে কার্যকরী পদক্ষেপ নিবে বললেও তদানুরূপ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে দেখা যাবে বহু বছরের পুরানো গাছগুলো না থাকলে সাধারন মানুষের জীবন নিয়ে হুমকির মধ্যে পড়বে।বৃক্ষ প্রেমিরা জানান, আম্ফান ঝড়ে বহু গাছ উপড়ে গেছে। গাছগুলো আমাদের অনেক সাহায্য করেছে ঝড়ের কবল থেকে। মেরে ফেলা গাছগুলোও যদি বেচে থাকে তবে ভবিষ্যতে আরো বড় ঝড়ের কবল থেকেও রক্ষা পাবো। বৃক্ষ নিধনকারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, তার আবাদি ফসলের জমির উপর গাছ থাকাতে আসানুরুপ ফলন পাচ্ছে না। এজন্য গাছের ছাল কেটে রেখে গাছ মেরে ফেলা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক জন জানান, বাড়ির উপর গাছ থাকাতে ঘরের ক্ষতি হচ্ছে এজন্য গাছ মারতে হচ্ছে। এভাবেই চলছে বৃক্ষ নিধন। নেই স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ। তাহলে কি এই স্থানীয় সরকারো পরোক্ষ ভাবে জড়িত? আর কেনই-বা প্রশাসন জোরালোভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করছে না? প্রশ্ন উঠে এসেছে স্থানীয় সাধারণ বাসিন্দাদের মনে।রাস্তার ধার দিয়ে লাগানো সত্তরের দশকের গাছগুলো তাদের ব্যাক্তিগত স্বার্থের জন্য নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিন যে অন্ধকার সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.