স্টাফ রিপোর্টার-জসিম উদ্দিন বাচচু দৈনিক শিরোমণিঃ যশোরের অভয়নগরে ঝড়ের কবলে পড়ে শতবর্ষী বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের ছাউনী উড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত শনিবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে, সিদ্ধিপাশা ইন্সটিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।গতকাল রবিবার সকালে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, ঝড়ের কবলে পড়ে বিদ্যালয়ের ৮ম ও ৯ম শ্রেনী কক্ষের ছাউনীর টিন দুমড়ে-মুচড়ে নিচে পড়ে আছে। বেঞ্চগুলোতে ধূলিকণার আস্তারণে ভরে গেছে শ্রেণীকক্ষে বসার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যথাসময়ে মেরামত করা না গেলে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।জানাগেছে, ১৯২৬ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও অবকাঠামোর দিক দিয়ে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। বিদ্যালয়ে প্রায় তিনশ ছাত্রছাত্রী থাকলেও ছাদের কোন পাকা ভবন নেই। এর ফলে মাঝেমধ্যে ঝড়বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে অসুবিধা হয়। বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান ভালো থাকলেও পাকা ভবন না থাকায় স্থানীয় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী দূরের অন্যত্র প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়।বিদ্যালয় সরকারী ছুটি থাকলেও ঝড়ে শ্রেণীকক্ষের টিন উড়ে গেছে এমন সংবাদ পেয়ে দেখতে আসেন ৯ম শ্রেণীর ছাত্র রুদ্র। কথা হয় বিদ্যালয়ের সম্পর্কে। রুদ্র বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টি শতবর্ষের। অথচ কোন ছাদের ঘর নেই। আমরা প্রতিনিয়ত ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে জরাজীর্ন শ্রেনীকক্ষে পড়ালেখা করি। তাই সরকারের কাছে আমাদের বিদ্যালয়টি পাকা ভবন দেওয়ার দাবি জানায়। এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক গাজী হাবিবুর রহমান বলেন,আমাদের প্রতিষ্ঠানের বয়স প্রায় একশ বছর হতে চললেও আধুনিকতার ছোয়া এখনো পাইনি। তিনি বলেন, গত শনিবার রাতে ঝড়ে শ্রেনীকক্ষের টিনের ছাউনী উড়িয়ে নিয়ে গেছে।যথাসময়ে মেরামত করা না গেলে ওই শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে ব্যহত হবে।তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রেনীকক্ষ দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিন উড়ে গেছে এমন কোন সংবাদ পাইনি। সংবাদ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]