প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ভালোবাসা দিবস ও সহীদ দিবস উপলক্ষে ব্যপক ফুল চাষ করেছে গদখালী,পানিসাড়া সহ ঝিকরগাছার প্রায় ১৭ টি গ্রামের ফুল চাষিরা।এর মধ্যে গদখালী,পানিসাড়া,বল্লা,কানারআলী,ডুমরে,সিওরদা,আসিংড়ী,বাইশা উল্লেখ যগ্য।
আর এবছরে ফুলের রাজ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে টিউলিপ ফুল।শীত প্রধান দেশের ফুল টিউলিপ এদেশে ফুটবে ভাবেনি কেউ!টিউলিপ ফুল বাংলাদেশে প্রথমে ঢাকার গাজীপুরে পরিক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হয়,পরে দ্বিতীয় বারের মত যশোরের গদখালীতে গত বছরে চাষ হয়েছিল,তারই ধারাবাহীকতা বজায় রাখতে এবছরেও চাষ করা হয়েছে টিউলিপ,আর এই অসাধ্যকে সাধন করেছে পানিসাড়ার ফুল চাষি ইসমাইল হোসেন।
জানুয়ারীর তৃতীয় সপ্তাহ থেকে তার বাগানে দোল খেতে সুরু করেছে বাহারী রঙের টিউলিপ ফুল।সারি সারি দোল খাওয়া টিউলিপের সুঘ্রান ও সুন্দরয্য উপভোগ করতে দূর দুরান্ত থেকে আসছে হাজার হাজার দর্শনার্থী।ফুল দেখতে আশা দর্শনার্থী বলেন,এই ফুলটি আমাদের দেশে প্রথম ফুটেছে তাই অতি আগ্রহের কারনে গদখালীতে আসা,আর এই কারনে প্রতিদিনি মানুষের ঢল নামছে ফুলের বাগান গুলোতে।আর এই সুযোগে বাড়তি আয় করতে সক্ষম হচ্ছেন বাগান মালিকরা।বাগানে প্রবেশ করতে মাথাপিছু পর্যটকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
টিউলিপ চাষের বিষয়ে ইসমাইল হোসেন বলেন প্রথম বার পরিক্ষামূলক ভাবে টিউলিপ চাষ করলেও এখন বানিজ্যিক ভাবে চাষ করতে চেষ্টা করছি।
তবে এদেশে ফুল ফুটলেও পরবর্তীতে ফুলচাষের জন্য বাল্ব সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই।একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় টিউলিপের বাল্ব সংরক্ষণ করতে হয়।এটা টিউলিপ চাষের বড় সমস্য।
বানিজ্যিক ভাবে টিউলিপ চাষের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের জলবায়ুর সাথে সামঞ্জস্য রেখে টিউলিপ ফুলের জাত উদভাবন করতে গবেশনা চলছে।
ফ্লওয়ার সোসাইটির সভাপতি জনাব আব্দুর রহিম ফুল চাষকে আরও ব্যাপকতা ও বেগবানকরতে সকলকে স্বভূমিকা রাখার আহবান করেন।