আবু হানিফ শার্শার ৯ নং উলাশী ইউনিয়নের মাটিপুকুর গ্রামের মাঠ পাড়ার হাজী মুহম্মদ লাল মিয়ার বড় ছেলে।বিদেশ থেকে ফিরেছে আবু হানিফ দুবছর হলো।তবে দেশে ফেরার ৬ মাস পর অর্থৎ ১৮ পূর্বেই বাগানের কাজ শুরু করেন।এক প্রকার সখের বসেয় নিজের তিন বিঘা (৯৯) শতক জমিতে ৫ প্রকার গাছের চারা রোপণ করেন।চারা গুলো হলো পেয়ারা, শরিফা,মালটা,কমলা ও সিডলেস (বীজহীন) লেবু।প্রথম বছরেই প্রত্যেক গাছেই ফল ধরে। তবে গত দেড় বছরে পেয়ারার বাম্পার ফলন হয়েছে।
চাষি আবু হানিফ বলেন আমার তিন বিঘা মিশ্র ফল বাগানের সম্মলিত খরচের টাকা এক ফল পেয়ারা থেকেই উঠে আসতে চলেছে।এখন ২০৮টি শরিফা গাছে মুকুল এসেছে ও মালটা গাছে ফল রয়েছে,আমি আশা করছি চলতি সিজনে আমার ৪/৫ লক্ষ টাকা লাভ হবে।আবু হানিফের ফল চাষের পাশাপাশি ধান চাষ ও মাছে চাষের ঘেরসহ মোট ৪০ বিঘা চাষের জমি রয়েছে।সখের বশে বসত বাড়িতে গড়ে তুলেছেন বাহারি ফলের বাগান। এর মধ্যে সবার নজর কাড়ে মালেশিয়ার মিষ্টি নারকেল,যার ৪ ফুট গুড়িতেই নারিকের ধরেছে।আরও রয়েছে বাহারি রঙের আখ ও বিভিন্ন ফলের চারা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব প্রতাপ মণ্ডল বলেন আবু হানিফ দেশের গর্ব।তার চাষবাসের ব্যাপারটি শার্শা কৃষি অফিস তদারকি করছে।আমরা বিভিন্ন ভাবে হানিফকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করে আসছি