ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মস্কোর প্রধান দাবিকে গ্রাহ্য করেনি অভিযোগ করে আগের অবস্থানে অনড় রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কয়েকদিন ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে প্রথমবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে পুতিন বলেছেন, ওয়াশিংটন ও ন্যাটোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
পুতিন-ম্যাক্রোঁর ফোনালাপ প্রসঙ্গে ক্রেমলিন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর জবাবে রাশিয়ার প্রধান উদ্বেগকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি, আলোচনায় এটি তুলে ধরা হয়েছে।
মস্কোর দাবি, ওয়ারশ চুক্তির আগে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক উপস্থিত যেমন ছিল সে অবস্থায় ফিরে যেতে হবে ও রুশ সীমান্তে আক্রমণাত্মক অস্ত্র মোতায়েন করা যাবে না। সাবেক সোভিয়েত দেশ ইউক্রেনকে ন্যাটো থেকে চিরতরে বহিষ্কার করারও দাবি জানিয়ে আসছে রাশিয়া।
ক্রেমলিনের বক্তব্য, তাদের মূল প্রশ্নটিই উপেক্ষা করা হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা কীভাবে নিরাপত্তা রক্ষার নীতি অনুসরণ করতে চায়… অন্য দেশের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলে কেউ নিজের নিরাপত্তা বাড়াতে পারবে না।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নিতে চান না পুতিন। মস্কো যুদ্ধ চায় না।
কিন্তু, পুতিন-ম্যাক্রোঁ ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর উপস্থিতি শক্তিশালী করতে আরও সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর সংখ্যা খুব বেশি হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। পশ্চিম ইউরোপে এরই মধ্যে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]