রাশিয়ার জাতীয় সংসদের নিম্ন কক্ষ দ্যুমার স্পিকার ভিয়াচেস্লাভের ভলোদিন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একদিকে রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অন্যদিকে সেই রাশিয়ার কাছ থেকেই তেল কিনছে। এটি সুস্পষ্টভাবে তাদের দ্বিমুখী চরিত্র প্রকাশ করে’।এ বছরের মার্চে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ও তেলজাতীয় পণ্য, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় দেশটি বলেছিল, রাশিয়ার কোনো তেল যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে গ্রহণযোগ্য হবে না।তবে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সরবরাহ করা তথ্য থেকে দেখা যায়, রাশিয়া থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে দ্বিগুণ তেল কিনেছে ওয়াশিংটন। এই কাজটি অনেকটাই গোপনে করছে তারা। ফেব্রুয়ারি মাসে যেখানে দুই হাজার ৩২৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল নেওয়া হয়, সেখানে মার্চ মাসে দেশটি তেল কিনেছে চার হাজার ২১৮ মিলিয়ন ব্যারেল।আগে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নবম বৃহৎ তেল সরবরাহকারী দেশ ছিল। এখন ষষ্ঠ বৃহৎ তেল সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয়েছে।দ্যুমার স্পিকার আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এটি সুস্পষ্ট ভাবে তাদের দ্বিমুখী চরিত্র প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্বিমুখী অবস্থানকে ‘কপটতা’ বলেও অভিহিত করেন তিনি। সূত্র : পার্সটুডে
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]