ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে রাশিয়া, এমন আশঙ্কার কথা বারবার প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। এ নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনা।
যদিও রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছা বা পরিকল্পনা তাদের নেই। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করার পর থেকেই উত্তেজনার শুরু।
এ অবস্থায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ‘ঐক্য দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। রাশিয়ার সম্ভাব্য এই হামলার মুখে বুধবার বাড়িতে বাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়াতে এবং জাতীয় সংগীত গাইতে ইউক্রেনীয়দের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
দ্য হিল, মেট্রোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলছেন, বুধবারই দেশে রুশ হামলা হবে এমন ধারণা করছেন না প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।
তবে নির্দিষ্ট এই দিনটিতে হামলা হতে পারে বলে পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর সংবাদের সমালোচনা করে ঐক্য দিবসের ঘোষণা দেন তিনি।
সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘তারা বলছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি হামলা হবে। আমরা এটিকে ঐক্যের দিন হিসেবে পালন করবো। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার রাশিয়ার সামরিক আক্রমণ শুরু হওয়ার কথা জানিয়ে তারা আবারও আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আর তাই, এই দিনে আমরা আমাদের জাতীয় পতাকা ওড়াবো, হলুদ এবং নীল রংয়ের ব্যানার পরবো এবং পুরো বিশ্বের সামনে আমাদের ঐক্য তুলে ধরবো। ’
রাশিয়ার সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করায় যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বলে আসছে, হামলা চালিয়ে ইউক্রেন দখলে নিতে পারে মস্কো। তবে ক্রেমলিন বারবার এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে। তারা এটাকে সামরিক মহড়া হিসেবে উল্লেখ করছে।
এর আগে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন থেকে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। একই সঙ্গে নিউজিল্যান্ড, ব্রিটেন, জাপান, লাটভিয়া ও নরওয়েসহ আরও কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]