আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা মাত্র। এরপরই মাঠে গড়াবে ১৪তম আইপিএল। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা এ আসরের শুরুর ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দুই দলের দলগঠন কাছাকাছি পর্যায়ের হলেও এ ম্যাচে কোহলিদের দুর্বলতা কিছুটা এগিয়ে রাখবে মুম্বাইকে।
রোহিত শর্মার দলে তারকার কমতি নেই একটুও। কুইন্টন ডি কক কোয়ারেন্টাইনে থাকার কারণে খেলতে না পারলেও তার বদলি হিসেবে যারা থাকবেন তাদেরও জুড়ি মেলা ভার। ঈশান কিষাণ কিংবা সূর্যকুমার যাদব দুজনেই আছেন আগুনে ফর্মে। এ ম্যাচে রোহিতের ওপেনিং সঙ্গী হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিষাণের।
ওদিকে কোহলিদের দলে আপাতত তারকা ব্যাটসম্যান হিসেবে কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্স ছাড়া নেই কেউ। আগের মৌসুমের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক দেবদূত পাড়িক্কল নেই করোনার কারণে। একাদশে থাকার সম্ভাবনাও নেই তার। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আছেন, তবে সর্বশেষ আইপিল নিলামের তৃতীয় সর্বোচ্চ দাম পাওয়া এই খেলোয়াড়ের অধারাবাহিকতা উদ্বোধনী ম্যাচের ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে কিছুটা চিন্তায় রেখেছে কোহলির দলকে।
অলরাউন্ডারের দিক থেকেও এগিয়ে এগিয়ে মুম্বাই। কারণ দলটিতে আছে হার্দিক পান্ডিয়া ও কাইরন পোলার্ডের মতো দুই অলরাউন্ডারের উপস্থিতি। আছেন হার্দিকের ভাই ক্রুনালও। বেঙ্গালুরু দলে ম্যাক্সওয়েল আছেন বটে, কিন্তু গেল মৌসুমে তার ফর্মহীনতা ছিল ব্যাট-বলে দুই বিভাগেই। এদিকে ওয়াশিংটন সুন্দর অবশ্য আছেন কোহলির অস্ত্রাগারে, তবে অভিজ্ঞতার অভাব ভুগতে পারে তাকে।
মু্ম্বাইয়ের বোলিং আক্রমণের দিকে তাকান একবার। যশপ্রীত বুমরাহ, নাথান কোল্টার নাইল, অ্যাডাম মিলনে, জেমস প্যাটিনসন, ট্রেন্ট বোল্টের মতো সময়ের সেরা পেসাররা আছেন দলটিতে। রাহুল চাহার, পীযূশ চাওলার মতো স্পিনার কার্যকরী হতে পারেন। দু’জনের মধ্যে অবশ্য একজনই সুযোগ পাবেন দলে। আরসিবির কাছে যদিও নবদ্বীপ সাইনি, কাইল জেমিসন, মোহাম্মদ সিরাজ ও যুজবেন্দ্র চাহালের মতো বোলার রয়েছেন। তবু বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র্য আর অভিজ্ঞতা এগিয়েই রাখছে মুম্বাইকে।
চিপকের স্পিন সহায়ক উইকেটে ব্যাটিংটা কঠিনই হতে পারে সবার জন্য। আজকের ম্যাচে সুযোগ থাকছে তাই চাহাল-চাওলাদের কাছে। তবে শেষ কিছুদিনে লেগ স্পিনে দুর্বল কোহলি যদি শেষমেশ অভিজ্ঞ চাওলার ফাঁদেই আটকা পড়েন তাহলে বেঙ্গালুরুর অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন আপকে পড়তে হবে বড় বিপদেই।
সবশেষে ইতিহাসও কথা বলছে মুম্বাইয়ের পক্ষে। দুই দলের ২৭ আইপিএল সাক্ষাতে মুম্বাইয়ের জয় ১৭টি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২ ম্যাচের দুটোতেই শেষ হাসি হেসেছে মুম্বাই। তবে চিপকে দুই দলের ইতিহাস আছে সাম্যাবস্থায়। দুই দলই জিতেছে একটি করে ম্যাচ।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]