মিজানুর রহমান মিলন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন একজন নিরেট ভদ্রলোক। তিনি শাজাহানপুর থানায় যোগদানের পরই পাল্টে যায় থানার চিত্র। থানায় জিডি বা অভিযোগ করলে পুলিশ আসতে একটা সময় সপ্তাহ পেরিয়ে যেতো। কিন্তু ওসি মামুন সেই দুরাবস্থাকে কাটিয়ে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছেন। যে কোন অভিযোগ বা জিডির ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশ প্রেরণ করে আইনি সেবাকে তিনি তরান্বিত করেছেন। থানায় আর কোন দালাল বা তদবিরকারীকে দেখা যায় না। তিনি সেবার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। সাধারন মানুষের ভোগান্তি এখন শুন্যের কোঠায়। থানায় যে কোন বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই ওসি মামুনের নেতৃত্বে চলে দুঃসাহসিক অভিযান। ইতিমধ্যে থানা এলাকায় ঘটে যাওয়া একটি ডাকাতির ঘটনায় দ্রুত মালামাল উদ্ধার সহ ডাকাতদের গ্রেফতার করে ওসি মামুন প্রশংসিত হন। এরপর থানার সুজাবাদে নাইটগার্ড হত্যার ক্লু লেস মামলার আসামী গ্রেফতার করে তিনি মুহুর্তে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন। ফুলতলা ফোরকান হত্যা মামলার আসামী সাগরকে গ্রেফতার করেন এবং বাকি আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়। সাবরুলে সিহাব হোসেন বাবুকে হত্যাকারীদের দ্রুত সনাক্ত করেন। চকজোড়া জাহিদুল হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। পলিপালাশ গ্রামের ৬ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের আসামীকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করেন। গোহাইল থেকে অপহৃত ভিকটিমকে ঢাকা গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। সর্বশেষ কাটাবাড়িয়া গ্রামে ছিনতাইকালে ৪ জন ছিনতাইকারীকে ওসি মামুনের নেতৃত্বে আটক করে থানা এলাকার সর্বত্র তিনি প্রশংসিত হন। থানা এখন তদবিরমুক্ত। ইতিমধ্যে ওসি মামুন থানা এলাকার সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। চাঁদাবাজ ও লুটেরা ওসি মামুন আতঙ্কে দিন অতিক্রম করছে। ওসি মামুনের যোগ্য নেতৃত্বে শাজাহানপুর থানার অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সদের মাঝে প্রাণ ফিরে এসেছে। থানা এলাকায় নিয়মিত চলছে বিভিন্ন অভিযান। যে কোন ঘটনার তাৎক্ষণিক রহস্য উন্মোচনের ফলে অপরাধীরা এখন অপরাধ করার সাহস হারাচ্ছে। থানায় আগত সেবাপ্রার্থীদের বিভিন্ন সময়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে তারা সঠিক সেবা পাচ্ছে। থানায় আগত সেবাপ্রার্থীরা নির্বিঘ্নে থানায় প্রবেশ করে ওসি’র সাথে তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারছে এবং আইনি সহায়তা পাচ্ছে। শত সফলতার মাঝেও বাবা হুজুর হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়নি। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, বাবা হুজুর হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য গভীরভাবে কাজ করছে থানা পুলিশ। থানার পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য কাজ করছেন ওসি মামুন। থানায় গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে থানা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করছে শ্রমিক। বাহারি ফুলে ও ফলে অপরুপ রুপে সেজেছে শাজাহানপুর থানা। ওসি মামুনকে থানার সার্বিক বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, মানুষের ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থাকার মাঝেই আমাদের সার্থকতা। দোয়া করবেন যেন আমরা আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি।
১ view