রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || সোমবার | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
রংপুরে বোরো ধান রোপণে ব্যয় বৃদ্ধির শঙ্কায় কৃষক
মোঃ সাকিব চৌধুরী, রংপুর জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ রপুর বিভাগের মিঠাপুকুর উপজেলায় বেশির ভাগ লোক কৃষির উপরে নির্ভরশীল। দেশের অর্থনীতির একটা বড় অংশের যোগানদাতা এই এলাকার কৃষি। কৃষি উৎপাদনের উপরই আমাদের বেঁচে থাকা। শুধু মানুষই নয় বরং অধিকাংশ জীব জন্তুর জীবনচক্র আবর্তিত হয় এই কৃষিকে কেন্দ্র করেই। ভোগ্যপণ্যের মূল্য অনেকটা নির্ভর করে কৃষির উৎপাদন খরচের উপর। উৎপাদন ব্যয় যত বেশি হবে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যও ততোই বেশি হয়।জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ব্যাপক হারে বাড়ছে এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনের খরচ। বর্তমানে কৃষি উৎপাদন অনেকটা যন্ত্র নির্ভর। জমি চাষ, পানি সেচ, ধান কাটা, মাড়াই, পরিবহন সব কিছুতেই ব্যবহৃত হয় তেল চালিত যন্ত্র। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে কৃষকের। রংপুর মিঠাপুকুরের প্রতি হেক্টর বোরো ধানের জমি প্রতিবার চাষে ট্রাক্টর ভাড়া যা পূর্বে ছিল ৭০০-৮০০টাকা।
বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১০০০-১২০০টাকা।মিঠাপুকুর উপজেলার কৃষক মো. রাজ্জাক মন্ডল বলেন, বোরো ধান রোপণের জন্য জমি ভেদে ৪ থেকে ৬ বার চাষ করতে হয়। এক হেক্টর জমি চাষ করতে আগে খরচ হত ৪৯০০-৫৫০০টাকা। কিন্তু এখন একই জমি চাষ করতে খরচ হচ্ছে ৬৮০০-৭৫০০টাকা। একই ভাবে পানি সেচের মূল্যও বাড়েছে। জ্বালানী তেল ডিজেলের দাম বাড়ায় ধান কাটাই, মাড়াই সহ পরিবহন খরচও বাড়বে। তবে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর হতে বিনামূল্যে বীজ পাওয়াই কিছুটা উপকৃত কৃষকেরা। একই কথা বলেন উপজেলার রানীপুকুর গ্রামের কৃষক হান্নান বর্মন পাশের গ্রামের মোঃ অর্নব মন্ডল ও মোঃ রেজা আলী।ট্রাক্টর চালক মিজানুর রহমান বলেন, পূর্বে ডিজেলের দাম প্রতিলিটার ৬৫ টাকা ছিল যা বর্তমানে একলাফে ৮০টাকা হয়েছে। তেলের দাম বেশি হওয়ার কারণেই চাষের মূল্য বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছি। সরকার পানি সেচ কাজে বিদ্যুতে যেমন ভর্তুকি দিয়েছেন কৃষি কাজে ব্যবহৃত জ্বালানী তেলে ভর্তুকি দিলে উৎপাদন ব্যয় কম হতো।মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, উপজেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩,৫৮০ হেক্টর জমি। উৎপাদন ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রণোদনার আওতায় প্রায় ৬ হাজার কৃষকের মাঝে বোরো ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি সহায়তায় কিছুটা হলেও উৎপাদন ব্যয় কমবে বলে আশা করছি।তেলের দাম বাড়ায় একদিকে কৃষক যেমন তার উৎপাদন ব্যয় নিয়ে শঙ্কিত অন্যদিকে সাধারণ জনগণ শঙ্কিত নিত্যপণ্যের অনাগত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.