তুহিন রাজ,রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
বাবা নেই মা ও চলে যায় পেটের টানে ঢাকার শহর ছোট্ট শিশুকে দেখার মতো নেই কেউ অবশেষে দিনমজুর খেটে খাওয়া বৃদ্ধা নানার কাছেই তাকে বড় হতে হয় মোসাঃ ঝুমুর কে যখনই তার বয়স ২০ বছর হয় তখনই তার নানার মাথায় চিন্তা আসে কিভাবে নাতনিকে বিয়ে দিবেন কিন্তু অর্থের অভাবে বিয়ে দিতে পারছেন না নাতনিকে তখনই ইলিয়াস মাহমুদ শিপন।
প্রতিদিনের সংবাদ এর রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান এর কাছ থেকে শুনতে পায় টাকার অভাবে অসহায় গরিব পরিবারের মেয়ে কে বিয়ে দিতে পারছেনা একথা শুনে ঐ মেয়ের বিয়ে দেয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে পিতৃহীন অসহায় পরিবারের মেয়ে মোসাঃ ঝুমুর (১৮) কে জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের আয়োজন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, ইলিয়াস মাহমুদ শিপন।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের খাসমহল গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে টিপুর সাথে বিয়ের দিন-তারিখ নির্ধারণ, করে কেনাকাটা, বরযাত্রীদের আপ্যায়ন থেকে শুরু করে স্বামীর বাড়িতে পৌঁছানো পর্যন্ত সব কাজ ও ব্যয় বহন করেন তিনি। এবং রবিবার ২ জানুয়ারি দুপুরে অনুষ্ঠান করে সবাই মিলে নবদম্পতি বর-কনেকে বিদায় জানান।
কনের নানা আবু হাওলাদার বলেন, টাকার অভাবে আমার নাতনি কে বিয়ে দিতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম । হঠাৎ করে একদিন প্রতিদিনের সংবাদ এর রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান এসে বলেন আপনার নাতিকে অর্থের অভাবে বিয়ে দিতে পারছেন না একথা শুনে আওয়ামীলীগ নেতা ও সমাজ সেবক ইলিয়াস মাহমুদ শিপন আপনার নাতনিকে বিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন।
তার পর ইলিয়াস মাহমুদ শিপন এর সহযোগিতায় আমার পিতা হারা নাতনি মোসাঃ ঝুমুর কে বিয়ে দিতে পারলাম।
ইলিয়াস মাহমুদ শিপন বলেন,অসহায় পরিবারের পাশে দাড়াতে পেড়ে আমি অনেক খুশী হয়েছি তবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমি অসহায় মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছি। আমার ক্ষুদ্র চেষ্টার কারণে আজ মেয়েটির বিয়ে হয়েছে। এ জন্য নিজের কাছে ভালো লাগছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]