পদুয়া ৫ নং ওয়ার্ড জয়নগর মাতব্বর টিলা এলাকায় নিজস্ব বসত ভিটার পাশে এ ঘটনাটি ঘটে।
ইউপি সদস্য মো. হোসেন বলেন,আমাকে বন্য হাতির আক্রমণের বিষয়টি সকালে আমাকে ফোন করে জানালে,সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে আসি,এসে আমি প্রশাসনকে অবহিত করি। পরপর প্রশাসনের লোকজন এসে সবকিছু তদন্ত করে।
আমি এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানতে পারি,রাত আনুমানিক রাত ১১ ঘটিকার সময় বন্য হাতি তাদেরকে আক্রমণ করে। আহত অবস্থায় পরিবারের তিনজনকেই মেডিকেল নেয়া হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জেসমিন আকতার (৭) কে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে আবুল হাসেম (৫৮) ও সাফিয়া আকতার (৩৮) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ হতে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাব,ইনশাআল্লাহ।
নিহত জেছমিন আকতারের বড় ভাই রোবেল বলেন,আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে খাবার শেষ করে আমার মা- বাবা ও বোনরা ঘুমিয়ে পড়ে,রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় হঠাৎ ১০/১২ টি বন্য হাতি আসিয়া বাড়িত আক্রমণ করে, আমরা নিজেরা বাচার জন্য এবং বাড়িতে থাকা গরুকে বাঁচাতে গেলে আমার মা- বাবা ও বোনকে আহত করিলে আমিসহ এলাকার লোকজন নিয়ে আমার মা- বাবা ও বোনকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার ছোটবোন জেছমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে আমার মা- ও বাবা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
রাঙ্গুনিয়া খুরুশিয়া বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আশরাফুল ইসলাম বলেন,গত রাতে জয়নগর এলাকায় বন্যহাতি এসেছে, খবর পেয়ে খুরুশিয়া বিট থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারী এসেছে। এসে দেখে হাতি তান্ডব করে, এলাকার লোকজনও তাদের সহযোগীতা করে। আমি সকাল ৮ টার সময় হাতির আক্রমণে আবুল হাসেম এর বসত বাড়িতে হামলা করে,পরে মেডিকেল যাওয়ার পথেই জেছমিন আকতার মারা যায়,আবুল হাসেম ও তার স্ত্রী সাফিয়া আকতার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা সরকারিভাবে তাদের পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাব এবং এলাকাবাসীদর সচেতন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন,যেহেতু এখন ধানের মৌসুম। এই মৌসুমে ধান খেতে হাতিরা খাবার না পেয়ে জমিনে চলে আসে।
এদিকে স্থানীয়রা নিহত জেছমিন আকতার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দাবি করে পরবর্তীতে বন্যহাতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থার নেয়ার সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা বন্যহাতির আক্রমণে জেছমিন আকতার নামে একজনের মৃত্যু এবং একই পরিবারের নহতের মা ও বাবা আহত অস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার খবর পেয়েছি,আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশের জরুরি টিম উপস্থিত হয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করে।